পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেঘনা তীরবর্তী পলিমাটি বিধৌত নোয়াখালীতে কৃষি সেক্টর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ধান, রবিশস্য, ফলমূল, শাকসবজি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রায় অব্যবহৃত ভূমিতেও রবিশস্য চাষের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এক সময় শাকসবজি ও তরিতরকারীর চাহিদা বিভিন্ন জেলা থেকে মেটানো হলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফসল চহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও সরবরাহ হচ্ছে।
করোনাভীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে নব উদ্যমে কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন। চলতি রোপা মৌসুমে নোয়াখালীতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর আগে ৪০ হাজার হেক্টরে চাষকৃত আউশ ধান কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। এছাড়া রবিশস্য মৌসুমে এখানকার কৃষকরা এবার রেকর্ড পরিমাণ ফসল উৎপাদনে সমর্থ হয়েছে।
মেঘনা বেষ্টিত নোয়াখালীর উপক‚লীয় ও দীপাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ ভূমি প্রতি বছর চাষের আওতায় আসছে। বিশেষ করে মেঘনা নদীগর্ভে জেগে ওঠা নতুন নতুন চরাঞ্চলে কৃষকরা পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ করে আসছেন। অপরদিকে, মাত্র এক ফসলী জমি হিসেবে খ্যাত জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলার ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য, হাঁস-মুরগি, রবিশস্য-শাকসবজি চাষের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
নোয়াখালী জেলা সদরের দক্ষিণাঞ্চলে আউশ-আমন ছাড়াও তরমুজ, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী, ডাল, তরিতরকারী ও শাকসবজি চাষে আশাতীত সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। ফলশ্রুতিতে দক্ষিণাঞ্চলে আরও নতুন নতুন এলাকা চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। আশার কথা, উপক‚লীয় এলাকায় আখ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে এখানে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছে।
নোয়াখালীর উপক‚লীয় অঞ্চলে অপার সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনা করে সূবর্ণচর উপজেলায় কৃষি ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া কৃষি বিষয়ক আরও একাধিক বিভাগ স্থাপিত হবে বলে জানা গেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে সরকারের প্রায় পঞ্চাশ হাজার একর খাস ভূমি রয়েছে। জেলার দক্ষিণাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত ভূমির অবস্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে। এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে এতদঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে। সদর ও সূবর্ণচর উপজেলায় বৃহৎ ও মাঝারি আকারের প্রায় শতাধিক মৎস্য খামার রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কোটি কোটি টাকার মৎস্য বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চল কৃষি বিপ্লবের জন্য অপার সম্ভাবনাময়। সরকার কৃষি সেক্টরকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অপরদিকে, জেলার উত্তরাঞ্চলের চারটি উপজেলায় ৪০ হাজার হেক্টর ভূমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল উৎপাদন হয়। নোয়াখালী কৃষি বিভাগ এই ৪০ হাজার হেক্টর ভূমিতে মাছ, হাঁস-মুরগি, রবিশস্য ও শাক সবজি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এতে নোয়াখালী খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের দিকে এগুচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।