পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720179160](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুয়েতে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা আমির হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। বুধবার (১৯ আগস্ট) সিআইডি সদর দপ্তর থেকে দৈনিক ইনকিলাবকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
সিআইডি জানায়, বিদেশী গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চার জন কুখ্যাত মানব পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার করে আসছিল। ওই চক্রের সদস্যরা ৯০০ এর অধিক ভিকটিম কুয়েতে পাচার করেছে। প্রতি জনের কাছ থেকে ৬ লাখ বা তার অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে পাচারের পর ভিকটিমদের উপর নেমে আসে দুর্বিষহ জীবন। প্রতারিত বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতে কোন কাজের সন্ধান পায়নি, বরং সেখানে খাদ্য ও বাসস্থান সংকটের ফলে উদ্ভাস্তু অবস্থায় কুয়েতের রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়। চক্রটি কুয়েতে ভিকটিমদের বন্দি করে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ গ্রহণ করে। তাছাড়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে উল্লেখিত ভিসাগুলো নেয়া হয়।
সিআইডি আরো জানায়, এদের মধ্যে কয়েকজন ভিকটিম কুয়েতের সরকারী এজেন্সি ও জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। কুয়েত এজেন্সি তদন্তে চক্রটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় এবং অভিযোগটির নিরিখে কুয়েতের আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে এ চক্রের চার সদস্যের বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালত অভিযোগ আমলে নেয়। ইতোম্যে আদালত তাদের ৩ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ৩ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। তবে এ চক্রের অন্যতম সদস্য আমীর হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিন কুয়েতে ৬ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি। কুয়েতে কারা ভোগ করলেও যে কোন উপায়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার নরসিংদীর মাধবদী থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।