পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ, দূরদর্শিতা, নীতি ও মূল্যবোধ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং অনুকরণীয়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং সমসাময়িক বিশ্বে এর প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ড. মোমেন বলেন, নব্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরও বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে কখনও পিছপা হননি। তিনি সারা জীবন ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন, যা এখন সমসাময়িক বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংসতা ও যুদ্ধ বিগ্রহের বড় কারণ অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা। পরমত সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সকলের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু তার শত্রæকেও শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরোধী পক্ষও তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও মানবিক গুণাবলীর প্রশংসা করতেন। জাতির পিতা তার জনগণকে ভালোবাসতেন, যা ছিল তার সবচেয়ে বড় শক্তি ও দুর্বলতা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার মত দূরদর্শী নেতৃত্ব পৃথিবীর খুব কম ব্যক্তিই অর্জন করতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের গণমানুষের নেতা ছিলেন এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। এ মহান নেতা তার স্বপ্নকে অনুসারীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। আমরা এখনও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।