বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পলিটেকনিকে যে কোন বয়সের শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রেখে নতুন ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালাকে একপেশে ও বিতর্কিত দাবি করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা। নতুন নীতিমালা বাতিল এবং ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দাবিতে এবার আন্দোলনে নামছেন তারা। আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ৫টি সংগঠন। সোমবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশন সমন্বয় পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি নীতিমালা বাতিলের দাবিতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আগস্ট মাসে দেশের সকল পলিটেকনিক ও বিভিন্ন সার্ভিস সংস্থায় জাতীয় শোক দিবস ও মুজিববর্ষের উপর আলোচনা ও বৃহ্ত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে পলিটেকনিক ছাত্র শিক্ষক ও পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময়। ১০ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করা হবে। এরপরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অযৌক্তিক ভর্তি নীতিমালা প্রত্যাহার না করলে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় ৫টি সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ ও পরবর্তী বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক ভর্তি নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে সমগ্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হবে, যা কারিগরি শিক্ষায় সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্থ করবে। ১৫/২০ বছর পূর্বে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারবে না। এদের অধিকাংশই ১/২ বছরের মধ্যে ঝরে যাবে। সিটগুলো শূন্য হবে, ড্রপ আউটের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বয়সের ব্যাপক পার্থক্যের কারণে শ্রেণীকক্ষের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
ভর্তি নীতিমালা প্রত্যাহার করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থার মূল সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, পলিটেকনিকে বিদ্যমান শিক্ষক, ল্যাব, ওয়ার্কসপের সংকট রেখে যে কোন বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্স উন্মুক্তকরণের সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ হবে। নীতিমালাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকট দেশের প্রকৌশল ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় যে অস্থিরতা তৈরি করেছে, তা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে না বলে জানানো হয়। বরং বয়স্কদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ দিতে চাইলে বিকল্প হিসেবে ২/৩টি ইনস্টিটিউটে সান্ধ্যকালিন কোর্স পরিচালনার বিষয়ে সরকার বিবেচনা করতে পারে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশন সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএম জহিরুল ইসলাম, সার্ভিস এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি মো. খবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একেএম আব্দুল মোতালেব, বাংলাদেশ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ, বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম মোল্লা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।