বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের নেতারা।
সোমবার (১৭ আগস্ট) সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের বিমান বন্দর থানার ওসি বি এম ফরমান আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ও যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সুদীর্ঘকাল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক বিদ্যমান। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষি ব্যক্তি বা সংগঠন জনগণের কাছে পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করছেন। দুটি ঐতিহ্যবাহী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বাহিনীকে বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত বক্তব্য ও অনভিপ্রেত মন্তব্য ইত্যাদির মাধ্যমে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন। এই অপপ্রচার চলমান বিচারিক ও প্রশাসনিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরণের উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনবান্ধব ও গণমুখী পুলিশ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সব ধরণের সহযোগিতা ও উৎসাহ অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহŸান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের চেকপোস্টে অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিতভাবে নিহত হন। এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত চলাকালীন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে র্যাব তদন্ত করছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যগণ দ্রæততম সময়ের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
গত ৫ আগস্ট সেনা প্রধান ও পুলিশ প্রধান কক্সবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তখন তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যক্তির কোন দায় প্রতিষ্ঠান বহন করবে না মর্মে তারা ঘোষণা প্রদান করেছেন। স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ ও জরুরী প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি উভয় বাহিনী প্রধান পুনর্ব্যক্ত করেন। ওই সভায় কক্সবাজার জেলার সংশ্লিষ্ট এলাকায় সেনা এবং পুলিশের যৌথ টহলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। গৃহীত এই উদ্যোগের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে দুই বাহিনীর প্রধানদ্বয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও বিনশ্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।