Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা

শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ স্বল্পতার কারণে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর সদরের একমাত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে বলে জানা গেছে। পুরনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে অত্র এলাকায় নারীশিক্ষা প্রসার ঘটলেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি প্রতিষ্ঠানটিতে। জানা গেছে, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বাইমহাটি মৌজায় প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক এমপি বর্তমান টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর এ উপজেলা সদরের কমপক্ষে অর্ধশত গ্রামের মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পায় এখানে। ইতোমধ্যে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্রী উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে এই নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে এসএসসি সাধারণ শাখা ও ভোকেশনাল শাখাসহ প্রায় দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষার্থীদের চাপের কারণে চারটি শাখায় পাঠদান করা হয়। ক্লাস রুম ও বেঞ্চ সংকটের কারণে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয় ছাত্রীদের। অনেক সময় উপস্থিতি বেড়ে গেলে বারান্দা ও খোলা আকাশে নিচে, মাঠে বসিয়ে ক্লাস করতে হয় তাদের। বিদ্যালয়টি বর্তমানে শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ স্বল্পতাসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষার্থীর সংখ্যানুযায়ী বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক থাকার কথা ৫০ জন কিন্ত বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২২ জন ও প্যারা শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ নেই বলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা গেছে। শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করায় গরমে অনেক ছাত্রী অসুস্থ হয়েও পড়েন বলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে এ উপজেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন নির্মাণসহ রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করে ব্যাপক উন্নয়ন করা হলেও নারীশিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে চলা এই বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনক্ষুণœ বলে জানা গেছে। অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বর্তমান সরকারের সিনিয়র একজন নেতা ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক। আর তার বিদ্যালয়ে অবকাঠামো ও শিক্ষক সংকট হলে এই সমস্যার সমাধান কবে হবে। বিদ্যালয় সূত্র জানান, নারী শিক্ষায় ভূমিকা রাখায় বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জাতীয় পুরস্কার ও ২০১৪ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উদ্দীপনা পুরস্কারও পেয়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টিতে পয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করা প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ