পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)।
শনিবার (১৫ আগস্ট) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা অনুষ্ঠান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে শাহাদাতবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন জাতি এত অল্প সময়ে এত রক্ত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে এমন নজির পৃথিবীতে বিরল। বঙ্গবন্ধুর কারণে এবং বঙ্গবন্ধুর ডাকেই এটি সম্ভব হয়েছে। আমাদেরকে ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, আদর্শ ও চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, জনগণের প্রতি জাতির পিতার যে ভালাবাসা, সম্মানবোধ ও মমত্ববোধ ছিল তা সকলের জন্য অনুকরণীয়। বঙ্গবন্ধুর চেতনা, আদর্শ ও দেশপ্রেম হৃদয়ে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করলে এবং আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া মাহফিল সার্থক হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) শিবনাথ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের অনুধাবন করতে হবে, রপ্ত করতে হবে এবং তার আদর্শ অনুসারে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা এ তিনটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আহ্বান জানান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (সেইফটি) মো. কামরুল হাসান-এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব)। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. এজাজ আহমেদ জাবের (যুগ্ম সচিব)। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুসহ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ধানম-িতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।