বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্রমেই লাশের সংখ্যা বাড়ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। এ মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি থেকে সিলেট শহরের হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওসমানীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করছেন এখানকার যাত্রীরা। আউশকান্দি থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত প্রায় ৫২ কি. মি. মহাসড়কের এসব দুর্ঘটনাকে ‘সড়ক হত্যা’ বলছেন স্থানীয়রা
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের ওসমানীনগরে সাদিপুরের ভাঙ্গা নামক স্থানে বাসচাপায় মদরাসার ছাত্রীসহ ৬ জন নিহত হন। এর আগে বুধবার ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে দুই মোটরসাইলে আরোহীকে চাপা দিলে মো. মুজিব (১৮) নামে এক যুবক মারা যান। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার গোলসা গ্রামের সদই মিয়ার পুত্র। এ সময় আহত হন আব্দুস সালাম (৩৫)।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি পানিউমদা বাজার থেকে সিলেট হুমায়ুন রশীদ চত্বর পর্যন্ত সড়কের খানাখন্দ সৃষ্টি। বড় বড় গর্তের কারণে রং সাইডে গিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে গাড়ি চলাচল, অযোগ্য চালক দিয়ে দূরপাল্লার বাস চালানো, মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার গাড়ি চলাচলকরাসহ ট্রাফিক আইন না মেনে চলার কারণে এসব ঘটনা নিত্যদিন ঘটছে। এসব দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে পড়ছে তরতাজা প্রাণ।
অনেকের বরণ করতে হয়েছে পঙ্গুত্ব। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশ পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে, নবীগঞ্জের আউশকান্দি, সইদপুরবাজার, দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট, নতুন বাজার, ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর, কাগজপুরব্রিজ, গজিয়া ইব্রাহীমপুর, ভাঙ্গা, বুরুঙ্গাবাজার মুখ, উনিশ মাইল, প্রথমপাশা, ব্রাহ্মণগ্রাম মোড়, গোয়ালাবাজার, ওসমানীনগর থানার সামন, তাজপুর, ব্রাহ্মণশাসন মোড়, চকবাজার, দয়ামীর, নাজিরবাজার, কুরুয়া, রশিদপুরসহ শতাধিক স্থান।
মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়লে নামকা ওয়াস্তে সংষ্কার করা হলেও কয়েকদিন পর আবার আগের গর্তের সৃষ্টি হয়। চালকরা বলছেন, পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছে অবৈধ গাড়ি। তিন চাকার গাড়ি মহাসড়কে চলার কোন নিয়ম না থাকলেও অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলাচল করছে এসব গাড়ি। সিলেট জেলা মোটরসাইকেল ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছাদিকুর রহমান ছাদেক বলেন, হাইওয়ে পুলিশসহ দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকারের আইন যথাযথভাবে পালন না করার কারণে এসব মর্মান্তিক ঘটনার সংবাদ আমাদের শুনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. এরশাদুল ভূইয়া বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জরিমানা করতে হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত লাগবে। সে ক্ষমতা আমাদের নেই।
ওসমানীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা যাতে চলতে না পারে সেজন্য চালকদের বোঝনো হচ্ছে। পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে রাখা বালু পাথর তুলে দিচ্ছি।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি মহাসড়কে অটোরিকসা চলতে পারবে না। মহাসড়কজুড়ে সকল অবৈধ জিনিসপত্র সরিয়ে দিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।