পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিনই মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক ৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি গতি বেড়েছে লেনদেনেও। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মূল্য সূচক ও লেনদেনে বড় উত্থানের পাশাপাশি বাজার মূলধনেও বড় উত্থান হয়েছে। ডিএসই’র বাজার মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ওই পরিমাণ বেড়েছে।
বড় অঙ্কের বাজার মূলধন বাড়ার সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৯টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ২১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৩৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা আট সপ্তাহ সূচকটি বাড়ল। আগের ছয় সপ্তাহে ১৫০ দশমিক ৪০ পয়েন্ট, ১৩৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট, ১১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট, ৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট, ৭৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট, ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট এবং ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বাড়ে সূচকটি। অর্থাৎ টানা আট সপ্তাহের উত্থানে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৭৪০ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বড় উত্থান হয়েছে ডিএসইর শরিয়াহ সূচকেও। শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সূচকটিও টানা আট সপ্তাহ বাড়ল। আগের সাত সপ্তাহে এ সূচকটি ৩৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই’র আরেকটি সূচক ডিএসই-৩০। এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ১১৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৫৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট এবং তার আগের দুই সপ্তাহে ৪৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট ও ৫ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। তবে এর আগের সপ্তাহে দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে সূচকটি।
সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও যথেষ্ট বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪০০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯০৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৬০০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসই’র মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৮৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের অবদান ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের এক দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের দশমিক ৪৫ শতাংশ অবদান ছিল।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, গ্রামীণফোন, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফু-ওয়াং ফুডস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।