পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গতকাল সকাল থেকে তারা হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে দেন। ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেন। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, তারা নিজেরা-নিজেরা মারামারি করে ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের বলেছি, আন্দোলনটা যেন নিয়মতান্ত্রিক হয়। রোগীদের যেন কোনো দুর্ভোগ না হয়। জুলাই মাসে কিছু কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন। এতদিন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়াই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজে বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রদের দুই গ্রুপের মারামারি হয়। এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর এবং অপর পক্ষ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
এ ঘটনার জেরে ওই রাতে ছাত্রাবাস সংলগ্ন গুলজার মোড়ে আরেক দফা মারামারিতে আহত হন ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহ্বায়ক ওসমান গণিসহ তিন জন। এর মধ্যে ওসমান গণিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারামারি-হামলার জন্য উভয়পক্ষ একে-অন্যকে দায়ী করছে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কিন্তু চমেকের ছাত্রাবাসে তাদের কয়েকজন অবস্থান করছিলেন। চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে উঠতে গেলে সংঘাত দেখা দেয়।
এর আগে গত ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। ওই ঘটনায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে আ জ ম নাছিরের অনুসারী ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারের পর জামিনে ১১ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী
কলেজে মারামারির ঘটনায় গতকাল চমেক ক্যাম্পাসের আশপাশ থেকে ১১ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- শাহরিয়ার ইসলাম ইমন (২৪), খোরশেদুল আলম (২৫), ওবায়দুল হক (২৪), বুলবুল আহমেদ (২৪), আতাউল্লাহ বুখারি (২৩), কে এম তানভির (২৪), ইমন সিকদার (২৩), মাহমুদুল হাসান (২৮), অভিজিৎ দাশ (২৩), তৌফিকুর রহমান (২৮) ও সরওয়ার ফারুকি (২৫)।
চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক আউয়াল রাফি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ১১ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, ১১ শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির করলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম খায়রুল আমীন তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।