Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুলিয়ায় বিষক্রিয়ায় একটি খামারের কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ৫:১৯ পিএম

ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবোতে বিষক্রিয়ায় একটি খামারের কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ করেছে খামার মালিকরা। তবে পানিতে বিষক্রিয়া নয়, খাবারের বিষক্রিয়া ও অক্সিজেনের অভাবে মাছ মারা গেছে এমনটাই ধারনা করছেন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ। এছাড়া এসব মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকা ও মাটিতে পুতে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকার ‘প্রান প্রকৃতি এগ্রো’ মাছের খামারে এঘটনা ঘটে।
খামার মালিক শরিফুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম দুই ভাই। তারা জানান, প্রায় ৪০ বিঘা জায়গা জুড়ে দীর্ঘদিন মাছ চাষ করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ ২/১টা মাছ পানিতে ভেসে উঠে। শুক্রবার সকাল থেকে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে কয়েকশ মণ মরা বড় বড় রুই, কাতল মাছ পানি থেকে তুলতে শুরু করি। এই খামারে প্রায় ১০ বছরের পুরোনো মাছও ছিলো। পানির নিচেও অনেক মাছ মরে পড়ে রয়েছে -বলেন তারা। তাদের দাবী, বিষ দিয়ে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে র্দুবৃত্তরা খামারে মাছ মেরেছে।
তবে সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ টনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, প্রাথমিকভাবে পানিতে বিষক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে খাবারের বিষক্রিয়ায় মাছ মারা যাওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে।

তিনি বলেন, পানিতে এমোনিয়া গ্যাস ও পিএইচ বা পানির ক্ষারীয় বেড়ে যাওয়ার উপস্থিতি পানিতে দেখা গেছে। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্রমুলক মাছের খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়েছে। আবার অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে মাছের অতিরিক্ত খাবার পানির নীচে জমে গিয়ে বিষাক্ত এমোনিয়া গ্যাস তৈরি হয়। ফলে মাছ সে খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। আবার পুকুরের ধারন ক্ষমতার থেকে বেশি মাছ থাকায় সেই মাছের পায়খানা জমেও এমোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যেতে পারে।
তবে পানিতে বিষের কোন গন্ধ পাওয়া যায়নি। মাছের ল্যাব পরীক্ষার পরই বিষয়গুলো আরও পরিস্কার হওয়া যাবে। এছাড়া পানিতে বিষক্রিয়া হলে আশেপাশের মাছের খামারও ক্ষতিগ্রস্থ হতো। কিন্তু সেইরকম কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, খামারীদের মতে এই খামারে প্রায় ৩০০ মণ মাছ মারা গেছে। যার বাজার ম‚ল্য আনুমানিক কোটি টাকা। যেসব মাছ মারা গেছে সেগুলো অবশ্যই মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। এছাড়া এই মাছ কোন ভাবেই খাওয়া যাবে না। বিষক্রিয়া হয়ে মাছ মারা যায়, তাহলে মানুষ খেলেও তার শরীরে বিষক্রিয়ার সম্ভবনা থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের মাছ পরীক্ষা নীরিক্ষার করা সুযোগ নেই। ফলে খামারীদের এসব মাছ সংগ্রহ করে ময়মনসিংহে পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে। সেই পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ