Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়কে চরম দুর্ভোগ

চসিকের জরুরি সংস্কার শুরু

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজে ধীরগতি, সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়িতে সড়কের অবস্থা বেহাল। তার ওপর বৃষ্টিতে খানা-খন্দে ভরা সড়কে দুর্ভোগের শেষ নেই। ভাঙা চোরা রাস্তায় আটকা পড়ছে যানবাহনের চাকা। বাড়ছে যানজট, ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা।

ঘর থেকে বের হলেই ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। চট্টগ্রাম বন্দরমুখী সড়কে তীব্র জটে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন। জনদুর্ভোগ লাঘবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জরুরি সংস্কার শুরু করলেও বৃষ্টিতে তা ব্যাহত হচ্ছে। নবনিযুক্ত চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা।

মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি সড়কে চলছে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ। কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এতে এসব এলাকার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সড়কের দুই পাশের ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য নগরীর প্রতিটি সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ি করে। করোনা পরিস্থিতিতে এসব সড়ক সংস্কার ব্যাহত হওয়ায় বর্ষা শুরু হতেই সড়কের পিচ উঠে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৌশলীরা জানান, পাইপ লাইনের জন্য কাটা সড়কে বৃষ্টির পানিতে পিচের সাথে ইট-বালির আস্তরও উঠে গেছে। সাড়ে ১২শ’ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিরাট অংশ এখন বেহাল।
প্রধান সড়কের আগ্রাবাদ থেকে বারিক বিল্ডিং, লালখান বাজার থেকে জিইসি, মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট, বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক, জাকির হোসেন রোড, স্ট্যান্ড রোড থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি সড়ক গর্তে ভরা। বিমানবন্দর সড়কে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত চলছে এক্সপ্রেসওয়ের খোঁড়াখুঁড়ি। এতে চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড এবং পতেঙ্গা এলাকার বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলো থেকে বন্দরমুখী ভারী যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র জটে অচল হয়ে পড়ছে পুরো সড়ক।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে নগরীর পোর্ট কানেকর্টিং সড়কে বেহাল অবস্থা। জাইকার অর্থায়নে ছয় কিলোমিটার এই সড়কের সম্প্রসারণ দুই বছর আগে শেষ হওয়ার কথা। সড়কের হালিশহর নয়াবাজার হতে সাগরিকা হয়ে অংলকার পর্যন্ত অংশে অনেক কাজ বাকি। সেখানে বড় বড় গর্ত বৃষ্টির পানি আর কাদায় ডোবার আকার নিয়েছে। বন্দরমুখী ভারী যানবাহন আটকে যাচ্ছে তাতে। চসিক প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েই ছুটে যান সেই সড়কে। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে গর্ত ভরাট এবং নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন।

একই অবস্থা বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কের। প্রায় অর্ধযুগ ধরে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য ওয়াসা প্রায় দুই বছর রাস্তার একপাশ বন্ধ রেখে খোঁড়াখুঁড়ি করে। ওয়াসার কাজ শেষ হলেও সিটি কর্পোরেশনের সংস্কার কাজ শুরু হতে লাগে আরও দ্ইু বছর। টাইগারপাস থেকে পাহাড়তলী পর্যন্ত আমবাগান সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক, স্ট্যান্ড রোডসহ আরও কয়েকটি সড়কে চলছে সম্প্রসারণ কাজ। করোনা এবং বর্ষায় কাজ থমকে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রæত শেষ করা হচ্ছে। একই সাথে যেসব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত সেগুলোতে জরুরি সংস্কার চলছে। বর্ষা শেষ হতেই বড় ধরনের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। বর্ষা এবং জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের হিসাব তৈরি করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, জনদুর্ভোগ লাগবে সংস্কার চলছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় থাকা সড়কে উন্নয়ন, সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার কাজও করা হচ্ছে। এর বাইরে নগরীর যেসব সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সংস্কার চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ