পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সরকার ভেঙে দিয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোন চিকিৎসা নাই। সেখানে হাসপাতালগুলোতে যাওয়া মানে মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিশ্চিত পকেটে নিয়ে যাওয়া। এর বাহিরে অন্যকিছু নেই। এই সরকার শুধুমাত্র ক্রসফায়ার গুম-খুনের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র একটা অমানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেনি। সরকার সরাদেশের মানুষকে মৃত্যু ক‚পে ফেলে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সেচ্ছাসেবক দলের মরহুম সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খানের রুহের মাগফিরাত কামনায় ছাত্রদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা বাংলাদেশে আমরা একটি মরণ যজ্ঞের মধ্যে আছি। আমি কয়েকদিন আগে কয়েকটি জেলা সফর করলাম। সেখানে অসুস্থতায় মারা যাওয়া কয়েকটি পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। তারা বলেছে এসব রোগীর হার্টের রোগ ও অন্যান্য রোগ ছিল বটে তবে তারা করোনায় মারা গিয়েছে। যে কয়টি বাসায় গিয়েছি করোনায় আক্রান্ত ছাড়া কেউ মারা যায়নি।
মানুষ হাসপাতালে ধূকে ধূকে মরছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্ট, ফ্লাইওভার করেন টাকা চলে যায় কানাডায়, মালয়েশিয়ায়। শুনি বেগম পল্লী, সেকেন্ড হোম। আর বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে ধুকে ধুকে মরে সাধারণ মানুষ। করোনার আক্রমণের সময় রাস্তায় ও হাসপাতালের বারান্দায় মানুষ মারা যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে নেগিটিভ করোনা পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন পজিটিভ আর প্রজিটিভ করোনা পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন নেগেটিভ। এই যে প্রতারণার জাল জালিয়াতি প্রত্যেকটির সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক আছে। আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোক, আওমীলীগ এর টোকশো বাজ, সব সরকারের লোক। তারপরও তারা নির্দ্বিধায় গলা উঁচু করে কথা বলে।
রিজভী বলেন, সকল অমানবিকতার জন্মদাতা হচ্ছে এই সরকার। আর এই সরকার দিব্যি জনগণকে বাদ দিয়ে, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে, জবাবদিহিতাকে কবরের মধ্যে ঠেলে দিয়ে জোর করে বন্দুক হাতে নিয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। ক্ষমতায় বসে মানুষ করোনায় মরুক, ক্যান্সারের মরুক যা খুশি তা হোক আমার চিকিৎসা ব্যবস্থার দরকার নাই। শুধুমাত্র মেগা প্রজেক্ট বানিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা নির্দ্বিধায় বাহিরে গিয়ে বাড়ি ঘর বানিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। এই হচ্ছে আওয়ামীলীগের নীতি।
ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।