মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনে এবার নিলামে উঠছে মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃত সোনার পালিশ করা চশমা। দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের হ্যানহ্যামের ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউস চশমাটি নিলামে তুলছে। অনুমান করা হচ্ছে, নিলামে এই চশমার দাম উঠতে পারে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকার মধ্যে।
ইস্ট ব্রিস্টল অকশনের পক্ষ থেকে রোববার জানানো হয়েছে, চশমাটি মহাত্মা গান্ধীকে ১৯০০ শতকে কেউ উপহার দিয়েছিলেন। এটি পেয়ে তারা খুবই অবাক হয়েছিলেন। চশমাটি পাওয়ার উপায়টিও ছিল একদম অন্যরকম। অকশন হাউসের লেটারবক্সে খামে মুড়ে কেউ এই চশমাটি রেখে গিয়েছিলেন। শুরুতে বুঝতে না পারলেও, পরে যখন এর সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক গুরুত্ব সামনে আসেন ভীষণই অবাক হয়েছিলেন অকশন হাউসের কর্তৃপক্ষ।
ইস্ট ব্রিস্টল অকশনস-এর সঙ্গে যুক্ত অ্যান্ডি স্টো জানিয়েছেন, ‘এই আবিষ্কারের ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। যে ভেন্ডর আমাদের এটা দিয়েছেন, তার কাছে জিনিসটি ইন্টারেস্টিং লাগলেও এর কোনও মূল্য আদৌ আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি আমাদের বলেছিলেন, যদি এর কোনও মূল্য না থাকে, তাহলে আমরা যেন ফেলে দিই। যখন ভালো ভাবে পরীক্ষা করে এর মূল্য ওই ভেন্ডরকে আমরা জানাই তখন বোধহয় ওর চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। এ সত্যিই এক অসাধারণ নিলামের গল্প! এমন নিলামের স্বপ্নই তো আমরা দেখে থাকি।’
ইতোমধ্যে অনলাইন নিলামে এই চশমার দাম উঠেছে ৬ হাজার পাউন্ড। জানা গিয়েছে, এই চশমাটি ইংল্যান্ডের এক প্রবীণ ব্যক্তির কাছে ছিল। তার বাবা জানিয়েছিলেন, এই চশমাটি গান্ধীর কাছ থেকে তার চাচা উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন যখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামে কাজ করতেন ১৯১০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে। স্টো-এর মতে, ‘এই ভেন্ডরের চাচা নিশ্চয়ই ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করতেন। আমার বিশ্বাস ১৯১০-এর শেষের থেকে ১৯২০ সালের প্রথম দিকে মহাত্মা গান্ধী চশমা পরা শুরু করেন। ফলে এই চশমাটি তার প্রথম জীবনের চশমা।’ আগামী ২১ আগস্ট নিলাম হবে গান্ধীর এই চশমার। ভারত থেকেও বেশ কিছু ক্রেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।