বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরার প্রতিরোধে মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা এবং এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভায় অংশ নেন। সচিবালয় প্রান্ত থেকে ছয়জন মন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন। করোনা ক্রমশ বাড়ছে, সেই জায়গা থেকে মন্ত্রিসভার কনসার্ন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেনারেল আলোচনা হয়েছে যে মানুষকে অন্তত সচেতন থাকতে হবে। এরমধ্যে দেখা গেছে যে অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা একটু কমে গেছে। সেটা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। ওয়ান অব দ্য প্রিভেন্টিং আসপেক্ট অব করোনা হ্যান্ডেলিং হলো তার একটা প্রিভেন্টিভ অ্যাকশনে থাকা। এগুলো ক্যাম্পেইনে নিয়ে আসা এবং যথা সম্ভব যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করা যায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো নিয়ে কালকেও সচিব কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছি এবং মাঠ প্রশাসনকেও বলে দিয়েছি যে, ইনফোর্সমেন্টেও যেতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও ম্যাসিভ প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। ফিজিক্যালি মাঠে গিয়ে মাইক দিয়ে, বিলবোর্ড দিয়ে যাতে মানুষ আর একটু সতর্ক হয়। কারণ, মানুষ যদি প্রটেকশনে না যায় তাহলে এটা তো মেইন অ্যাসপেক্ট হলো কমিউনিটি। সেই ক্ষেত্রে আমাদেরকে সবাইকে পার্টিসিপেট করতে হবে। রেডিও, টেলিভিশন সব জায়গায় প্রচার, তথ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সচিব কমিটির মিটিংয়ে খুব স্ট্রংলি রিকমেন্ড করেছি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কেন পরিচালনা করা হবে, সচেতন করার জন্য না মানুষ যে মানছে না সেটার জন্য এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুটিই হবে। ধরেন, একেবারে ম্যাসিভ কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করার ক্ষেত্রে যদি পানিশমেন্ট দেয়া হয়, এই জিনিষটা প্রচার করার জন্য, যে আজকে মাস্ক না পরার জন্য বা সেফটি মেজার না নেয়ার জন্য এতোগুলো লোককে বাসে বা বাজারে বা লঞ্চে পানিশমেন্ট দেয়া হয়েছে। এগুলো যদি প্রচারে যায় তাহলে মানুষও। মাস্ক পকেটে থাকে, কিন্তু মানুষ পরে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারে পরিকল্পনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত ২১ জুলাই রাস্তার হকার থেকে শুরু করে গণপরিবহন এবং অফিস-আদালতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে পরিপত্র জারি করে। সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।