রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কামাল হোসেন, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সর্বপ্রথম সরকারি কলেজ শিবগঞ্জ উপজেলার আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ কলেজটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার গুণগত মানসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা ছিল এই কলেজ। কিন্তু সেই সুনাম হারাতে বসেছে ঐহিত্যবাহী এ কলেজটি। বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী, একাডেমিক ভবন এবং শিক্ষার্থীদের হোস্টেল না থাকায় একরকম মুখ থুবড়ে পড়েছে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা। সরজমিনে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাস চত্বরে নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। এইচএসসি প্রথম বর্ষের হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজে আসলেও শিক্ষক না থাকায় ফিরে যায় তারা। ফিরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ক্ষব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে ভর্তির পর থেকে তাদের ভূগোল, মনোবিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞানের একদিনও ক্লাস হয়নি। সেদিনও কলেজে এসেছিলেন ক্লসশ করার জন্য কিন্তু মাত্র ৩-৪ জন শিক্ষক ও দুই একজন কর্মচারী ছাড়া অন্য শিক্ষকরা কেউ কলেজে আসেনি। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয় তারা। তাদের অভিযোগ আর মাত্র পাঁচ মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা। নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কিত তারা। অপরদিকে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ইংরেজি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস করাচ্ছে এক ছাত্র। ক্লাস নেয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষক কলেজে না আসতে পেরে তাকে ফোনে ক্লাস নেয়ার জন্য বলেছে। এছাড়াও শিক্ষকরা বাইরে থাকায় প্রায় সময়ই তাকে স্যারের বদলে ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কলেজে একটি মাত্র লাইব্রেরী থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে বই না থাকায় তাদের প্রায় সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজে না আসায় অধিকাংশ বিষয়ে বছরের পর বছর ক্লাস হয় না। এদিকে আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে আদিনা কলেজে ৪৪ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২৪ জন। শিক্ষকদের ডরমেটরি ভবন না থাকায় শিক্ষকদের বাইরে থাকতে হয়। তারা নিজ নিজ বাড়িতে থাকায় অনেকে নিয়মিত কলেজে আসতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে উপাধ্যক্ষের পদটিও। এদিকে ৩১ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১৩ জন। সেখানে নেই শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন। এছাড়া তিনি শিক্ষক সঙ্কটের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে না বলে তিনি স্বীকার করেন। তাছাড়া কলেজটিতে শিক্ষার মান কমে যাওয়ায় সেখানে দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।