Inqilab Logo

সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালমাইতে বিলুপ্তপ্রায় ‘স্বর্ণ কুমুদ’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

নাম তার স্বর্ণ কুমুদ। আর নাম শুনে মনে হতে পারে স্বর্ণ আছে? কিন্তু এটি একটি ফুল এবং স্বর্ণের মতো মূল্যবান না হলেও বেশ দুষ্প্রাপ্য। আগে দেশেও উন্মুক্ত পরিবেশে টিকে ছিল।
নগরায়নের ফলে ডোবা, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে এখন তেমন পাওয়া যায় না এ ফুল। কুমিল্লার লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে ফুটেছে বিলুপ্তপ্রায় স্বর্ণ কুমুদ ফুল। কুমিল্লায় স্বর্ণ কুমুদ গাছ প্রাকৃতিকভাবে তেমন জন্মে না।

কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু নাঈম দুই বছর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে এর একটি চারা সংগ্রহ করেন। সে গাছ থেকেই চারা বাড়িয়ে একটি গাছ লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে এ প্রয়াস। ফুল থেকে সামান্য ব্র্যান্ডির ঘ্রাণ আসে বলে এটাকে ইৎধহফু নড়ঃঃষব ষরষু নামেও ডাকা হয়। এটি ণবষষড়ি ধিঃবৎ ষরষু নামেও পরিচিত। সায়েন্টিফিক নাম ঘঁঢ়যধৎ ষঁঃবধ.

গাছের পাতা সবুজ। লতানো কাষ্ঠল কান্ডের মতো হয় গাছটি। কান্ডসমেত মূল গাছ পানির নিচেই থাকে। পাতা এবং ফুল ভেসে থাকে ওপরে। গাছটি অগভীর পরিষ্কার পানি পছন্দ করে।
কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, বিলুপ্ত প্রায় স্বর্ণ কুমুদ ফুল লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া ডা. আবু নাঈম শিউলি বাগান করার জন্য ১৫টি শিউলি চারা ও কিছু বিদেশি ফুল আফ্রিকান প্রিন্সেস, বাসর লতা, জল গোলাপ, মেক্সিকান ফ্লেম ভাইনসহ মোট ১৬ প্রজাতির গাছের চারা লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে দিয়েছেন। সূত্র : বাসস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ