বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
কালাম ফয়েজী
[গত শনিবার প্রকাশিতের পর]
আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তখন প্রায়ই শুনতাম মগজ ধোলাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ মেধাবী ছাত্রদের পিকিং বা মস্কো পাঠানো হয়। অবশ্য নব্বই এর দশকে পেরেস্ত্রয়কা গ্লাসনস্ট প্রবর্তিত হবার পর মগজ ধোলাই এর প্রপ্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেটা চালু আছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে কম খরচে। তার জন্য অবশ্য কারো বহুদূর পর্যন্ত যাবার দরকার হয় না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দেশে রেখেই কৌশলে ধোলাইয়ের কাজ সারিয়ে নেয়া হয়। ফল হয় এই, তারা যতই দাদাগিরি করুক, আমাদের অর্থনীতির মেরুদ- ভেঙে দিক, সীমান্তে গুলি করে পাখির মতো মানুষ মারুক, রাজনীতির গতিপথ বন্ধ করে দিক তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সুযোগ নেই। বরং মগজ ধোলাইয়ের ফলে একটি শক্তিশালী গ্রুপ আদাজল খেয়ে তাদের পক্ষেই মাঠ গরম রাখে। মনে হবে তারা যা করছেন, সব ঠিকই করছেন। তাদের এ ধোলাইয়ের প্রক্রিয়াটা এত দূর নিয়ন্ত্রিত যে, না সেটা ধরা যায়, না সকলে টের পায়।
বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর উন্নয়ন-অগ্রগতি ঠেকে থাকার অনেক কারণ। তার প্রথম কারণ পরদেশি নিয়ন্ত্রণ, দ্বিতীয়ত শাসকদের অপকর্মের সমালোচনার পথ রুদ্ধ করে রাখা, তৃতীয়ত পছন্দসই নেতা বা প্রতিনিধি নির্বাচন করার পথ বন্ধ করে দেয়া। চতুর্থত চিন্তা ও আইডিয়া শেয়ার করতে না পারা। এদেশে নতুন মতামতকে স্বাগতম জানানোর বদলে পায়ের নিচে পিষে অপমান করা হয়। ফলে নতুন চিন্তার নায়করা তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদানের সাহস পায় না। কেউ হাত খুলে কাজও করতে পারে না। পঞ্চমত জবাবদিহিতা না থাকায় রাজনীতি, বিচার-প্রশাসন ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে যাওয়া।
যে সমাজে আমাদের জন্ম ও বসবাস সে সমাজে সহস্র বছর ধরে সামন্ততান্ত্রিক বা জমিদার কেন্দ্রিক শাসন ও বিচার ব্যবস্থা বলবৎ ছিল। এখানে জমিদাররা ছিল ভূমির মালিক, একচেটিয়া ছিল তাদের কর্তৃত্ব। তারা অন্যায় অপকর্ম করলেও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার দুঃসাহস কারো ছিল না। সমালোচনা বা প্রতিবাদ করা তো সুদূরপরাহত। ফলে এ সমাজে উন্নতি আসেনি।
আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির পূর্বশর্ত রাজনৈতিক পরিবর্তন তথা উদার রাজনীতির চর্চা, ভোট দান ও মতামত প্রকাশের প্রকাশের স্বাধীনতা। বেশি পরিশ্রম করলে ভালো ফল, ভালো ছাত্র হলে ভালো চাকরি, ভালো কবিতা লেখলে ভালো সম্মান অর্থাৎ দান করলে প্রতিদান, অন্যায় করলে নিশ্চিত শাস্তিÑ মানুষ যদি এমনি কর্ম ও জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা পায় তবে সে সমাজে উন্নতি আসতে বাধ্য। পরদেশি নিয়ন্ত্রণ আর দুর্নীতির ঘেরাটোপ থেকে বের হতে না পারলে দেশের উন্নতি বলতে গেলে প্রায় অসম্ভব।
দেশের অর্থনীতিকে বর্তমানে আওয়ামী লীগ এমন এক স্থানে নিয়ে গেছে যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই কঠিন। তেমনি রাজনীতিকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে গিয়ে মানুষ দল উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং আ. লীগ বিএনপি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে। প্রকৃত সত্যকে সত্য না বলে দলীয় মতামতের ভিক্তিতে সত্য-অসত্য বলা হচ্ছে এবং বাকশালী কায়দায় ন্যায়-অন্যায়ের বিচার হচ্ছে। এতে সমাজের মূল্যেবোধ নষ্ট হচ্ছে এবং সামাজিক সিস্টেম ভেঙে পড়ছে। এটাও করা হয়েছে দূরনিয়ন্ত্রিত কৌটিল্যের চাণক্যনীতি প্রয়োগ করে। এর পরিণাম কী, কোথায় গিয়ে এ জঞ্জাল ঠেকবে কেউ জানে না।
হাজার বছর বাঙালি পরাধীন ছিল, তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে দু’টি কারণ অন্যতম। প্রথমত সঠিক ও সাহসী নেতৃত্বের অভাব, দ্বিতীয়ত নেতৃস্থানীয়দের বেঈমানি। দুঃখের কথা কি বলব, বেঈমানি, নিমকহারামি এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের দেশের একটা শ্রেণির রক্তের সাথে মিশে আছে। কোনোভাবেই তারা তার বাইরে যেতে পারেন না।
আজ বিএনপির আন্দোলন সফল না হওয়ার পেছনে যতগুলো কারণকে সামনে আনা হয়, তার একটি অন্যতম কারণ সময় মতো যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে না পারা এবং কোনো কোনো নেতার বেঈমানি। খালেদা জিয়ার আশপাশের শক্তিধর কতক ব্যক্তি, সর্বোপরি নীতি-নির্ধারকদের কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোপন সিদ্ধান্তের কথাটা পৌঁছে দেন প্রতিপক্ষের কাছে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অন্তত তা-ই বিশ্বাস করে। তখন সরকারের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামের টুটি চেপে ধরা তখন অনেক সহজ হয়ে যায়।
একইভাবে যারা সরকারে আছেন, তাদের যেকোন মূল্যে যেকোন কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং সুবিধা নেয়াটাই টার্গেট। জনগণের জন্য কাজ করেছেন বলে যে ঢাকঢোল পেটানো হয় তার সিংহভাগই আইওয়াশ। মূলত তারা কিছুতেই পর দেশের তল্পিবাহক নীতির বাইরেও যেতে পারছেন না। জনপ্রিয়তা শূন্যের কাছাকাছি চলে গেলেও তারা ক্ষমতা ছাড়ার কথা ভাবতেই পারেন না।
একটা কথা ভালোভাবে খেয়াল রাখবেনÑ বিএনপি-আওয়ামী লীগ নামের দু’ভায়ের মুখোমুখি দাঁড়ানো এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া মানে উভয়ের বিশ্বাস-শান্তি ও এনার্জির অপচয়। এতে দু’ভায়ের কারোই কল্যাণ নেই। ভাইকে আঘাত করা মানে নিজেকে আঘাত করা। সংঘর্ষ লাগিয়ে মামলায় জড়িয়ে দু’ভাইকে দুর্বল করা যায়, তবে নিশ্চিত জানবেন ওই পরিবারে বা সমাজে নেতৃত্ব দেয়ার লোক আর খুঁজে পাবেন না। কাজটা দুর্ভিসন্ধিমূলক। যেমন দুর্ভিসন্ধিমূলক কর্ম হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান সমর্থিত এক গ্রুপ দিয়ে অন্য গ্রুপের নেতাকে খাটো করা। সমালোচনা করতে করতে যদি দু’জনকেই বিতর্কিত করা যায়, তাহলে বিশ্বাস ও নৈতিক দিক থেকে আমাদেরই দুর্বল করে দেয়া হলো। আর একবার যদি অনুসরণীয় লোকদের বিতর্কিত করে ফেলা যায় তবে অন্যের তাবেদারি করার বাইরে আমাদের কিছুই করার থাকবে না।
অবশ্য এও ঠিক যে, চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত বেশিদিন কার্যকর থাকে না। স্বাদেশিকতা, স্বাজাত্ববোধ ও স্বদেশপ্রেম একসময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই। যেমন স্বাধীনতা লাভের পরও অনেক দিন আমাদের দেশকে পার্শ্ববর্তী দেশের সিভিল আমলা ও দেরাদুনের সামরিক আমলা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলে ছিল, অতঃপর বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের কাছে সে চক্রান্ত হামাগুড়ি খায়। এবং ইন্দিরাজিও শেষ পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক আমলাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন।
প্রেসিডেন্ট জিয়া আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেনÑ ‘ভারত সব সময় চায় বাংলাদেশে একজন পুতুল সরকার বসাতে।’ কেউ কেউ মনে করেনÑ বর্তমানে গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকারই পুতুল বা তাবেদার সরকার। তাদের ফর্মুলা অনুসারেই শেখ হাসিনা সরকার চালাচ্ছেন। আমার ধারণা দুষ্ট লোকেরা যা-ই বলুক, প্রধানমন্ত্রী জানেন তিনি কী করছেন। যদি তিনি তাবেদারি করতে বাধ্যও হন, সমালোচকদের বক্তব্যকে যদি সত্য বলে ধরেও নেয়া হয়, আমি নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও বুঝবেন এবং স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেন। কারণ তিনি জানেন মেয়ের সংসারে মাকে অতিরিক্ত নাক গলাতে দিলে সে সংসারে শান্তি থাকে না। মায়ের সংসার মায়ের, মেয়ের সংসার মেয়ের।
বলা হচ্ছেÑ রাজনীতি-বিচার ব্যবস্থা প্রশাসন সর্বত্র এত বেশি দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে যে, যদি কেউ তার জবাব দিতে যায়, তবে সে আর মানুষ থাকে না। কেন এ জনপ্রিয় দলটি এমন আগ্রাসী নীতি এবং ফ্যাসিবাদী চরিত্র গ্রহণ করল? কেন তারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখাকেই সেরা কর্ম হিসেবে বেছে নিল? এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে একটি প্রহসন মঞ্চস্থ করল? এর একমাত্র কারণ-ভয়। তারা ভয় পেয়ে গেছে, ক্ষমতা হারালে মানুষ তাদের আস্ত রাখবে না। এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। হলো কেন? বরং তাদের ভয়কে জয় করার দরকার ছিল। তার জন্য তারা সময়ও পেয়েছিল অনেক।
সকলে জানেন, আওয়ামী লীগ অনেক গৌরবগাথার অধিকারী রাজনৈতিক দল। তা সত্ত্বেও দলীয় নেতাদের অনেক উগ্রনীতি এবং উশৃঙ্খল আচরণের জন্য দলটির জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থনে ভাটা পড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নয়, তাদের ক্ষমতায় আসতে হলো খানিকটা বাঁকাচোরা পথে শক্তিধর কারো আশীর্বাদ নিয়ে। দেশের মানুষের কাছে জিনিসটা অজানা নয়। তারপরও বলবÑ চরিত্র বদল করে জনসমর্থন বাড়ানোর সর্বোচ্চ সুযোগ ছিল এবার তাদের। জনগণের কাছাকাছি যাবার, আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের এমন সুবর্ণ সুযোগ দলটি আর পরে পাবে কিনা সন্দেহ। তার জন্য কিছু স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগই যথেষ্ট ছিল। একদিন, দুদিন, তিনদিন, জনগণের জন্য কাজ করতে করতে জনসমর্থন ও জননির্ভরতা এমনিতেই বেড়ে যেতো। এতে আজ না হোক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি দলীয় প্রশস্ত রাজপথ নির্মিত হয়ে যেতো। কিন্তু তারা করলো তার উল্টোটা।
দলটি সব সময় চেতনার কথা বলে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে তাদের মুখে খৈ ফোটে। আর সমস্ত কর্মই করে সম্পূর্ণ চেতনা পরিপন্থী। দেশের সাধারণ জনগণ তাদের দস্যুতা-দুর্নীতি-চেতনাগর্হিত তৎপরতা দেখে রীতিমত হতবাক ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তাদের এগ্রেসিভ আচরণ, প্রশাসনিক সন্ত্রাস ও রাজকোষ লুণ্ঠন, নিজস্ব স্টাইলের নির্বাচন গিনিজবুকে স্থান পাওয়ার মতো। এত কিছু করেও তারা টিকে গেল দাদাদের আশীর্বাদের জন্য। বুঝতে কষ্ট হয় নাÑনেপাল-ভুটানের মতো এখানেও একটা আজ্ঞাবাহী পুতুল সরকার একান্ত প্রয়োজন। দাদাদের সেই প্রয়োজন পূরণ হচ্ছে বলেই যেকোন মূল্যে তারা অতি চেতনাসমৃদ্ধ এ দলটিকে টিকে থাকতে সাহায্য করছে। দেশের যত ক্ষতি দাদাদের তত লাভ। এখানে এক টাকা লুট হলে টাকাটা চলে যায় সে দেশে। তাহলে কেন তারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করবে না? আমাদের দুর্ভাগ্যÑ আমাদের এ সত্য উপলব্ধি করতে সময় লেগে গেল। যখন বুঝলাম তখন পানি অনেক দূর গড়িয়ে গেছে।
২৬০ বছর আগে দুর্র্ধর্ষ দুর্বৃত্ত লর্ড ক্লাইভের কীর্তি চেয়ে দেখা ছাড়া নিরীহ মুর্শিদাবাদের নিরীহ জনগণ ও গোবেচারা স্বদেশবাসীর কিছুই করার ছিল না। আজও লীগ সরকারের তা-ব চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া নিরীহ স্বদেশবাসীর কিছুই করার নেই। করা তখনই সম্ভব হবে যখন হেমিলনের বাঁশিওয়ালা বা স্বদেশপ্রেমে আত্মদানকারী নূরুলদিনের মতো কেউ এসে ভাঙার গান শোনাবেন। আমরা অপেক্ষা করছি সে ডাক শোনার জন্য : বাহে কোনঠে তোমরা।
আমেরিকার জনপ্রিয়তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির একটা বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করি। তিনি বলেছেনÑ “যারা শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনকে অসম্ভব করে তোলে, তারা যেন সহিংস পরিবর্তনকে স্বাগত জানায়।” সময়ের দাবি হচ্ছে পরিবর্তন। পরিবর্তনের ধারায় রাজতন্ত্র-সামরিকতন্ত্র, উপনিবেশবাদ, ফ্যাসিজম বিদায় নিয়েছে। তার স্থলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। আরব দুনিয়ায় শত শত বছরের রাজতন্ত্র খান খান হয়ে গেছে। সেই গণতান্ত্রিক ধারার পথ রুদ্ধ করে আপনারা সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশ চালাচ্ছেন। এর দ্বারা মূলত ভিতরে ভিতরে সহিংসতাকেই উস্কে দিচ্ছেন। দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এর পরিণাম দেশ-সমাজ, দেশের মানুষ কারো জন্যই সুখকর নয়। [সমাপ্ত]
য় লেখক : কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।