Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ফজিলাতুন নেসা বাঙ্গালির প্রেরণার উৎস -কুয়ালালামপুরে হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২০, ১১:২৮ এএম

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনে প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন। তিনি একদিকে সংসার ও সন্তানদের লালন পালন করেছেন অন্যদিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে প্রেরণা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর নির্যাতিত অসহায় নারীদের পুনর্বাসন করেছেন। মরহুম শেখ ফজিলাতুন নেসা বাংলার প্রতিচ্ছবি এবং বাঙ্গালির প্রেরণার উৎস।
শনিবার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এ দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডিফেন্স এডভাইজার কমোডর মুশতাক আহমেদ এবং ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ। কুয়ালালামপুর থেকে হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। হাইকমিশনার বলেন, দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা সেই কঠিন দিনগুলো ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করেছেন। সেই উত্তাল দিনগুলোতে স্বামীর মুক্তির জন্য মামলা পরিচালনা এবং দলের সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা দান সবই তাঁকে করতে হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছেন যা ছিল স্বাধীনতার ডাক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা ও সহযোগিতা তাকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা, নিজে বন্দি এবং দুই ছেলে যুদ্ধের ময়দানে এমন কঠোর পরিস্থিতি তিনি মোকাবিলা করেছেন। আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন নেসা মুজিবের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের অনুপ্রেরণায় উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে নি:স্বার্থ ভাবে আত্মনিয়োগ করতে হবে তবেই তাঁকে স্মরণ করা ও শ্রদ্ধা জানানো স্বার্থক হবে। লেবার কাউন্সলের (শ্রম-২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডলের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন লেবার কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার রূহের মাগফিরাত, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বঙ্গমাতার জীবন সম্পর্কিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এসওপি মেনে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ