মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারির কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরছে প্রবাসী কর্মীরা। পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এবং ভিটেমাটি বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে অভিবাসনের ব্যয়ের টাকাও তুলতে পারেনি অনেকে। চাকরি হারিয়ে দেশে প্রত্যাগত এসব কর্মীর অভিভাবকদের কেউ কেউ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
গতকাল শনিবার দুবাই থেকে প্রত্যাগত একাধিক কর্মী এসব তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মালয়েশিয়া থেকে (এম এইচ-১৯৬) ফ্লাইট যোগে কাজ না থাকায় ৯৬ জন কর্মী দেশে ফিরেছে। একই ফ্লাইটে দেশটি থেকে বিভিন্ন কারণে মৃত ২৩ জন প্রবাসী কর্মীর লাশ হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছে। যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এসব লাশ দেশে পাঠাতে ৭/৮ মাস বিলম্ব হচ্ছে। বিমান বন্দরে এসব লাশের কফিন দেখে অপেক্ষমাণ স্বজনদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল মর্গে এখনো বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কর্মীর লাশ পড়ে রয়েছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের যথাযথ সহযোগিতার অভাবে প্রবাসী মৃত কর্মীদের লাশ দেশে পাঠাতে অহেতুক বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এছাড়া গতকাল সকালে জর্ডান থেকে মহিলা গৃহকর্মী নওগাঁ জেলার রোকেয়ার লাশ দেশে পৌঁছেছে। বিমান বন্দর কল্যাণ ডেস্ক এসব লাশ পরিবহন ও দাফন কাফনের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল থেকে জনপ্রতি ৩৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করেছে। কল্যাণ ডেস্কের এডি ফখরুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন কারণে মৃত কর্মীদের মধ্যে যেসব লাশ দেশে পৌঁছেছে সেগুলো হচ্ছে, কুমিল্লার সাদেক হোসেন, ইয়াছিন, আব্দুর রশিদ, নড়াইলের বখতিয়ার রহমান, মেহেরপুরের মনিল খান, যশোরের আজিজুর, হবিগঞ্জের ইসহাক মিয়া, বাচ্চু মিয়া, চাঁদপুরের কামাল হোসেন, কক্সবাজারের ইমান হোসেন, কুষ্টিয়ার জাহিদুল ইসলাম, শহীদ শেখ ও ঝিনাইদহের সাইদুল ইসলাম। বাকি লাশের পরিচয় জানা যায়নি। এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের লেবার কাউন্সেলর জহিরুল ইসলামের সাথে গতকাল শনিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় দুবাই থেকে ফ্লাইট (বিএস-৩৪২) যোগে চাকরি হারিয়ে ১৩৩ জন কর্মী হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছে। সকাল পৌঁনে ৯টায় ফ্লাইট (ইকে-৫৮৭) যোগে ২৩৮ জন কর্মী দুবাই থেকে দেশে পৌঁছেছে। প্রত্যাগত ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানায় করোনার কারণে দেশটির বিভিন্ন কোম্পানী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছে। আরো বহু বাংলাদেশি অসহায় কর্মী কাজ না থাকায় দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় ফ্লাইট (বিজি-০৩৯) যোগে আবুধাবি থেকে ১১৯ জন কর্মী চাকরি হারিয়ে খালি হাতে দেশে ফিরেছে। এদিকে, সরকার করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে যেসব কর্মী দেশে ফিরছে। তাদের পুনর্বাসনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।