বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জে মধুমতি, কুমার নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গোপালগঞ্জ সদর, মুকুসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার বিলবেষ্টিত নিন্মাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার ৩২ টি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার ২ শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিন্মাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানিতে নিমর্জিত হয়েছে।
এ দিকে মধুমতি নদী ও মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদহ, উরফি, ইছাখালি ও ধলইতলায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে ।
পানি বেড়ে অন্তত ১ হাজার ২ শ’ মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমন ধানের বীজতলা ও ক্ষেতের আউশ ধান তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে সবজি ক্ষেত। বানভাসী ৮ শ’ পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউপি পরিষদ ও উচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। তারা পরিবার পরিজন ও গবাদিপশু দিয়ে অবর্ননীয় দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল মধুমতি নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া ৪ স্থানে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, আমন ধানের বীজতলা ও ক্ষেতের আউশ ধান তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে সবজি ক্ষেত। কৃষি বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে আমরা কাজ করছি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, সার্বক্ষনিক জেলার বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় মানবিক খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।