Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলাপাড়ায় আয়রন ব্রীজ ভেঙ্গে খালে ভোগান্তি ৮ টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২০, ৬:৪৯ পিএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি আয়রন ব্রীজ ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামীন জনপদের ৮ টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। বুধবার রাত ১০ দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুমিরমারা খালের উপর নির্মিত ৪৮৫ ফুট দৈর্ঘের এ আয়রন সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। এসময় সেতুর উপর থাকা শহিদুল হক ও রুহুল আমিন মৃধা খালে পড়ে আহত হয়। তাৎক্ষণিক সাঁতরে তারা তীরে উঠায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেতুটি ভেঙ্গে পাড়ায় উপজেলা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আট গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সবজী চাষে বিখ্যাত ওই এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫ টনেরও বেশি সবজি এ আয়রন ব্রীজ দিয়ে পারাপার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন হয়ে যাওয়ার ফলে দারুন ভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছে স্থানীয় সবজী চাষীরা।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালের উপর দুই দফায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১১৬ মিটার দীর্ঘ এ সেতুৃটি নির্মাণ করা হয়। কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে। পুরনো সেতুর মালামাল খুলে এ সেতুটি নির্মাণ করার শুরু থেকেই সেতু পার হতে মানুষের মধ্যে ছিলো ভয় ও আতংক। কেননা সেতু নির্মানের সময় খালে ঠিকভাবে লোহার খুঁটিগুলো পোঁতা হয়নি। লাগানো হয়নি খুঁটির সাথে আড়াআড়ি লোহার এ্যাঙ্গেল। একারনে সেতুতে মানুষ চলাচল করলেই দুলতো। কিন্তু বুধবার রাতে হঠাৎ মাত্র দুইজন মানুষ নিয়ে সেতুটির প্রায় ১১০ মিটার খালে পড়ে তলিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সেতু ভেঙ্গে পড়ায় খবর তিনি পেয়েছেন। এখন বিকল্প উপায়ে চলাচল অব্যাহত রাখতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। সেতুটি সংস্কারের বিষয়ে এলজিইডিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কলাপাড়া এলজিইডির প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, পাখিমারা খালে আগে ছিলো কাঠের পুল। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তে ছয় বছর আগে একটি পুরনো আয়রণ সেতুর মালামাল দিয়ে ওই খালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে উপজেলায় ভেঙ্গে পড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ