পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর-খুলনার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ মহাসড়কটি এখন সাচ্ছন্দ্যে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কটির যশোর অংশের ৩৮ কিলোমিটার পথ নির্মাণে বরাদ্দ হয় ৩২১ কোটি টাকা। এখনো নির্মাণ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, অথচ এরই মধ্যে নির্মিত অংশের অসংখ্য স্থানে খানাগর্ত ও ডেবে উঁচু নিচু হয়েছে। নতুন রাস্তায় পুটিং দেওয়া হচ্ছে। কয়েকবছর ধরে সড়কটি ছিল চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। দৈনিক ইনকিলাবসহ পত্র পত্রিকায় অনেক লেখালেখির পর নতুন করে নির্মাণে সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয়। যখন সড়কটি চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল, তখন বিকল্প সড়ক হিসেবে যশোর থেকে মণিরামপুর, কেশবপুর ও চুকনগরের সড়ক ব্যবহার করা হতো।
মহাসড়কটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, গুরুত্বপুর্ণ জেলা যশোর, স্থলবন্দর ভোমরা ও দর্শনা, নদীবন্দর শিল্পশহর নওয়াপাড়া এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মংলার সাথে যোগাযোগে প্রধান ভ‚মিকা রাখে। টানা প্রায় ৩ বছর সড়কটিতে কখনো স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করা যায়নি।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় থেকে অভয়নগরের রাজঘাট পর্যন্ত মোট ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। দুটি প্যাকেজে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। প্রতি কিলোমিটার নির্মাণ করতে খরচ ধরা হয়ে ছিলো সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এরই মধ্যে নির্মিত ৮ কিলোমিটার রাস্তায় বিটুমিন উঠে ও ডেবে গিয়ে উঁচু নিচু হয়েছে।
বসুন্দিয়ার বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন জানালেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করে গোজামিল দিয়ে নির্মাণ হয়েছে। যার কারণে এই অবস্থা’।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস, এম, মোয়াজ্জেম হোসেন বললেন, নতুন রাস্তা কেন ডেবে গেল তার কারণ উদঘাটনে একজন পরামর্শক নিযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টির বিস্তারিত জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। আমরাও তদন্ত করে দেখছি। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ডিসেম্বর করা হয়েছে। মেয়াদ ছিল ২০২০ এর জুন পর্যন্ত। নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্য, ওভারলোডের কারণেই মহাসড়কটি নির্মাণাধীন অবস্থাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার কথা, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত লোড হওয়ায় যশোর-খুলনা মহাসড়কটি ঘন ঘন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে বেনাপোল সড়কের নাভারণ থেকে বেনাপোল চলচাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেনাপোল সড়কটি যশোর শহরের দড়াটানা মোড় থেকে শুরু হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্স ল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। এর ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকা। সড়কটি ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে।এই সড়ক নির্মাণেও গোজামিল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।