মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত বিশ্বে থাবা বসাচ্ছে আরেক ভয়ঙ্কর সংক্রামক রোগ যক্ষ্মা। যে রোগ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই। বিশ্বের সবচেয়ে ছোঁয়াচে এবং হন্তারক এ রোগ প্রতিবছরই প্রায় ১৫ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যক্ষ্মার (টিবি) বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ঠিক করোনাভাইরাস ঠেকানোর মতোই প্রয়োজন কন্টাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন এবং অসুস্থদের জন্য কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসব্যাপী চিকিৎসা। কিন্তু এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বকে যেভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে, তাতে যক্ষ্মা নির্ণয়, চিকিৎসা এবং এ রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা কম গুরুত্ব পাচ্ছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনে মানুষের চলাফেরা, ভ্রমণসহ ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘিনত হওয়ার ফলেও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণে বেড়েই চলেছে টিবি সংক্রমণ। আগামী কয়েক বছরে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে গবেষকরা আশঙ্কাও করছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর টিবি’র সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি/এইডস এমনকী ম্যালেরিয়ারও বিস্তার ঘটে চলেছে। “কোভিড-১৯ আমাদের সব প্রচেষ্টা বিফল করে দেওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে; আমরা ২০ বছর আগে যেখানে ছিলাম সেখানেই আবার আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে,” বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক ম্যালেরিয়া কর্মস‚চির পরিচালক ড. পেদ্রো। করোনাভাইরাস আতঙ্ক এবং ক্লিনিকগুলোতে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে টিবি, এইচআইভি, ম্যালেরিয়ার বহু রোগীই চিকিৎসা পাচ্ছে না। তার ওপর বিমান এবং সমুদ্রপথে পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ওষুধ সরবরাহও অনেকটাই কমে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা, এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়া কর্মস‚চির প্রায় ৮০ শতাংশ সেবাই বিঘিনত হয়েছে। বিশ্বে যত যক্ষ্মা রোগী আছে তার প্রায় ২৭ শতাংশই ভারতের। দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ কমেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। দেশটির বেশির ভাগ ক্লিনিকই এখন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে কেবল করোনাভাইরাস শনাক্তে। নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।