Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লেবাননে দেড় লাখ প্রবাসী কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ১৫০ জন ফিরেছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২০, ২:৫৯ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননের অর্থনীতিতে মারাত্মক ধস নেমেছে। দেশটিতে মার্কিন ডলারের সঙ্কটের দরুণ স্থানীয় মুদ্রার মান সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কাজকর্ম না থাকায় নিয়োগকর্তারা অভিবাসী কর্মীদের বিতারিত করে পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশটিতে কাজের পরিধি হ্রাস পাওয়ায় অনেক প্রবাসী কর্মী বেকার ঘরবন্দি জীবন যাপন করছে। দেশটি বসবাসরত প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি মহিলা পুরুষ কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। বাসাবাড়ির কাজে বাংলাদেশি মহিলা গৃহকর্মীরা নামমাত্র বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। লেবানন প্রত্যাগত একাধিক মহিলা গৃহকর্মী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার কারেণে লকডাউন শুরু হওয়ায় বিগত ৬/৭ মাস যাবত বাংলাদেশি কর্মীরা মাত্র ২/৩ হাজার টাকা মজুরিতে কাজ করছে। তা’ অনেক নিয়োগকর্তা কর্মীদের নিজ নিজ দেশে চলে যেতে বাধ্য করছে। কেউ দেশে ফিরতে না চাইলে তাদেরকে জোরপূর্বক রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরে স্থানীয় পুলিশ রাস্তা থেকে এসব অভিবাসী কর্মীদের ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রাখছে। গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে লেবানন থেকে ৫০ জন মহিলা কর্মীসহ দেড়শ’ প্রবাসী কর্মী ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পেয়ে (কিউআর-৬৩৮) ফ্লাইট যোগে দেশে ফিরেছে। এদের মধ্যে ৪৩ জন কর্মী এসেছে আউট পাস নিয়ে। বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সরকারের আর্থিক সহায়তায় এসব কর্মী ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরেছে।
কাজের কোনো সুযোগ না থাকায় দেশটি থেকে বৈধ ও অবৈধ মিলে প্রায় ৮ হাজার প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরতে দূতাবাসের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। বিমানের টিকেট প্রাপ্তির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এসব কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। দেশটির রাজধানী বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। লেবাননে নারী পুরুষ মিলে বর্তমানে এক লাখ ষাট হাজারের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। কারণে অকারণে, বৈধ বা অবৈধ নারী পুরুষ সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন এবং লেবানন মানবাধিকার সংগঠন কেডিটাচের অধীনে শিশু নারী ৪ জনসহ লেবানন কারাগারে আটক ছিলেন ৮৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। লেবানন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, লেবানন সরকারের বিভিন্ন জায়গায় অনেক দেন দরবার করে অবশেষে দূতাবাসের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে রোববার থেকে ডিটেনশন সেন্টারে আটককৃতদের দেশে প্রেরণ করা শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে লেবানন থেকে ধাপে ধাপে আরো বাংলাদেশি নাগরিক ফিরে আনা হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে কাগজপত্রহীন প্রবাসীদের এক বছরের জরিমানা ও বিমান টিকিটের টাকা পরিশোধ করে বিশেষ সুযোগে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি আরও বলেন, এ সময়ে প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচশ' প্রবাসী দেশে ফিরতে পারবেন। দূতাবাস থেকে যাদের মাঝে টিকিট বিতরণ করা হবে তারা করোনাভাইরাস টেস্ট করে ফলাফল নেগেটিভ হলে দেশে ফিরতে পারবেন। যাদের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসবে তাদের পরবর্তীতে প্রেরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ