পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে রাতভর অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৫৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম। তারা সবাই অজ্ঞান পার্টির পেশাদারী সক্রিয় সদস্য। ঈদ উল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট কেন্দ্রিক বেশি তৎপর ছিল ওই চক্রের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।
তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাট, বাস-লঞ্চ-ট্রেন স্টেশনসহ বেশি জনসামগমের স্থানে উপস্থিতি বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে অভিযান নামে ডিবি পুলিশের একাধিক টিম। এ সময় ওয়ারী বিভাগ ১৬ জন, সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ১০ জন, মতিঝিল বিভাগ ৯ জন, রমনা বিভাগ ৮ জন, লালবাগ বিভাগ ৮ জন ও তেজগাঁও বিভাগ ৮ জনসহ মোট ৫৯ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২৪০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট, ৪টি তরল মুভ স্পে বোতল, ৯টি মলমের কৌটা, ৭টি হারবাল পেইন কিলার, ৫টি চাকু, গুল, ৯টি চেতনানাশক হালুয়াসহ মরিচের গুড়া ও জামবাগ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক ওষধ বা লিকুইড কৌশলে চা, ডাব, পানীয় বা অন্যকোন খাবারের সাথে মিশিয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়াও তারা গুল, মরিচের গুড়া বা মলম চোখে মাখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মানুষের সমাগম স্থানে এরা তৎপর থাকলেও কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে তারা তৎপর ছিল। গত কয়েক দিন থেকে এদের ধরতে কাজ করছিল ডিবি পুলিশ। তবে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে পশুর হাটের কেনা বেচা নিরাপদ হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
আবদুল বাতেন আরো বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গরু ব্যবসায়ী ও গরু বিক্রেতাদের টার্গেট করে তাদের খাবারের সাথে চেতনা-নাশক মিশিয়ে টাকা পয়সা লুটপাট করে আসছিল। তারা চারজন পাঁচজনের একটি গ্রæপ হয়ে হামলা চালিয়ে থাকে। একেকটি গ্রæপের হামলা চালানোর ধরণ একেক রকম, কেউ খাবারে চেতনা নাশক খাইয়ে কিংবা চোখে মুখে মলম বা স্প্রে ছিটিয়ে লুটপাট করে বলে জানান তিনি।
নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, নিজেদের সাবধানতার কথা ভেবে হলেও অপরিচিত কারো কাছ থেকে এবং রাস্তা থেকে কিছু খাওয়ার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাই সচেতন হলে এ ধরণের ঘটনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।