নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সদস্য দেশগুলোকে অর্থ সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গত ২৫ জুন। এর একমাসেরও বেশি সময় পর ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো করোনাভাইরাস ত্রাণ পরিকল্পনা। ২৯ জুলাই তারা এই পরিকল্পনা জানিয়েছে। ফিফার ব্যুরো অব কাউন্সিলে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সারা বিশ্বের ফুটবল সমাজ ও অধিভুক্ত সব জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন সম্ভবত আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই পেয়ে যাবে করোনা অনুদান। সব মিলিয়ে অনুদানের পরিমান ১.৫ বিলিয়ন বা দেড়শো কোটি মার্কিন ডলার। প্রতিটি সদস্য অ্যাসোসিয়েশন পাবে সমান এক মিলিয়ন, মানে ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
করোনার প্রভাব পুরো পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়তেই ফিফা বুঝে গিয়েছিল সংকটে পড়তে যাচ্ছে ফুটবল। প্রাণঘাতি ভাইরাসটির কারণে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ফুটবলের এটা ফিফা আঁচ করতে পেরেছিল। চারমাস পর তারা প্রমাণ পেলো ফুটবলের কতটা ক্ষতি করেছে করোনাভাইরাস।
তাই শেষ পর্যন্ত হিসাব-নিকাশ করে বিশাল আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে ফিফা হাজির হলো ফুটবল পাশে। ঘোষণা আসলো প্রতিটি সদস্য দেশকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এ ধারাবাহিকতায় করোনা ত্রান বাবদ ২১১টি জাতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিটিকে ১০ লাখ ডলার অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। অনুদান তো আছেই, এর বাইরেও যেকোনো অ্যাসোসিয়েশন ফিফার কাছ থেকে বিনা সুদে সর্বনি¤œ ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিতে পারবে। ১০ লাখ ডলার অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে সব সদস্য দেশের নারী ফুটবল উইং সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার করে অনুদান পাবে। আর ছয়টি মহাদেশীয় ফুটবল কনফেডারেশন অনুদান পাবে সমান ২০ লাখ ডলার করে। ফিফা এই করোনা সহায়তা বাস্তবায়ন করবে তিন ধাপে।
ক্রীড়া বিশ্বে ফিফা সবচেয়ে ধনী সংস্থা। এটা সবাই মানেন। তাদের কোষাগারের অঢেল অর্থের ভাগ সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলো পায়। দু:সময় ও সংকটে ফিফা দুই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে। তবে অবশ্যই নিয়ম-নীতির মধ্যে ফিফা অনুদান বা সাহায্য করে থাকে সদস্যদের। সহযোগিতা পেতে ফিফার কাছে আবেদন করতে হবে। এই করোনা ত্রাণও ফিফা দিচ্ছে নির্দিষ্ট ছকে বাধা আবেদনের ভিত্তিতে। আবেদনপত্র নির্দেশিত অর্থ খরচ পকিল্পনার সমর্থনে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তা গৃহীত হলেই অনুদান পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, সবকিছু বুঝে করোনা ত্রান পাওয়ার জন্য আবেদন করতে ৭/৮ দিন সময় লাগবে বাফুফের। দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি প্রথমেই ভাবছে সরাসরি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ফুটবলারদের কথা। ফিফার কাছ থেকে অর্থ পেয়ে জাতীয় ফুটবলার, প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ এবং সব জুনিয়র লিগের ফুটবলারদের আর্থিক সহায়তা দেবে বাফুফে। সাহায্য পাবে প্রতিটি বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও ক্লাবগুলো। বাফুফে অনুদান নেবে ঠিকই কিন্তু তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো ফিফা থেকে তারা কোনো ঋণ নেবে না। এ ব্যাপারে সোহাগের কথা, ‘বিনা সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও বাফুফে কখনোই ফিফার কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পক্ষপাতী নয়।’
করোনা ত্রাণ তহবিল থেকে সব সদস্য দেশের নারী ফুটবল উইং সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার সাহায্য পাবে। বাংলাদেশের নারী উইংও পাবে এই সাহায্য। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ব নারী ফুটবলের শীর্ষ দেশগুলোর মতো একই পরিমাণ অর্থ আমরা পাবো না। তবে নারী ফুটবলে দেশের অগ্রগতি অনুযায়ী যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ অনুদান পাওয়ারই চেষ্টা করবে বাফুফে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।