বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকদিন পর্যটকশূন্য সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা। সারাদেশ লকডাউন থাকার কারণে পর্যটক বিহীন পালিত হয়েছে ঈদুল ফিতর।সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে কুয়াকাটা ১ জুলাই পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেলসহ টুরিস্ট ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছেন অনেক পর্যটক তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আযহা, আনন্দের সাথে উদযাপন করতে পারবে কুয়াকাটায় আশা পর্যটকরা।
খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের, ইতিমধ্যেই পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাজিয়ে নিচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ , কেনাবেচা জন্য তৈরি রয়েছে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যান সহ, চটপটি ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা, কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর জন্য কাজ করতে প্রস্তুত , মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক,কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দ্বীপ ও বনাঞ্চল ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট,স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক ।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপেক্ষা করে ঝিনুক মার্কেট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন ইতিমধ্যেই আমরা বেচাকেনা করার জন্য পর্যটকদের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি, আমরা আশাবাদী পবিত্র ঈদুল আযহার পবিত্রতা বুকে ধারণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ঝিনুক মার্কেট এর বেচাকেনা আবার আগের মত ফিরে আসবে।
কুয়াকাটা হোটেলে নিলঞ্জনার ম্যানেজার মোঃ হাবিবুররহমান জানান, আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি লকডাউনে থেকে, সে সময় করোনা ভাইরাস, কুয়াকাটা রূপকে বিনষ্ট করছিল, সেই কষ্টের সময় কে বিসর্জন দিয়ে নতুন রূপে সাজানোর জন্য ব্যস্ত কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তিনি আরো বলেন, আবাসিক হোটেলগুলো সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরিধান করে পরীক্ষা করে তাদেরকে হোটেলের রুম ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এবং পর্যটকদের সর্বোচ্চ গাইড দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন, হোটেলের কর্মকর্তারা। এই ঈদুল আযহায় নতুন রূপ নিয়ে হাজির কুয়াকাটার হোটেল মোটেল।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হোসাইন আমিন জানান, তারা ট্যুরিজমের সকল সেক্টরকে আবারো পূর্ণরূপে সাজিয়ে নেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা আশাবাদী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ পিপাসা পর্যটকগণ ঘুরতে আসবেন সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। এবং সাথে সাথে পর্যটকদের সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম এন্ড ট্রাভেলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, আমরা আশাবাদী পবিত্র ঈদুল আযহায় কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে।আবার আগের মত প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মনে
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা জানান, আমরা পৌরসভা ও প্রশাসন সাস্হবিধি মেনে টুরিস্টদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক প্রস্তু।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক আসবে তাই আমরা অনেক নিরাপত্তাব্যবস্থা করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল টুরিস্ট ও স্থানীয়দের চলাচলের জন্য মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করতেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।