Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দেশীয় গরুর আধিপত্য

মাহফুজুল হক আনার : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে কোরবানির হাটগুলোতে পূর্ববর্তী সময়ে ভারতীয় গরুর আধিক্য দেখা যেত। তবে সেই দৃশ্যপট পাল্টে এখন বিপুল সংখ্যক দেশীয় গরু দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে কৃষক ও খামারিদের পালিত গরু ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের মতে এবার দিনাজপুরে ৭০ হাজারের বেশী পশু উদ্বৃত্ত আছে। তবে হাটগুলিতে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও দাম গত বছরের চেয়ে অনেক কম। গত বছর ব্যবসায়ীরা খামারি ও হাট থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেত। এবার তাদের দেখা নেই বললেই চলে। বছর ধরে লালন পালন করা গরু বিক্রি করতে এখন পরিচিতদের মাধ্যমে বাড়ি থেকেই গরু বিক্রি করার চেষ্টা করছে কৃষক ও খামারিরা। তারপরও দাম নিয়ে কৃষক ও খামারিরা হতাশ হয়ে পড়েছে। 

দিনাজপুর জেলায় এবার সরকারিভাবে ৫৯টি হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এসব হাটে অধিকাংশই দেশীয় জাতের গরু। প্রতিবছর বাছুর কিনে লালন পালন করতে থাকে এমন কৃষকের সংখ্যা শতকরা ৯০ শতাংশ। ভালভাবে লালন পালন করে তরতাজা করা হয় কোরবানির আগেই। উদ্দেশ্য একসাথে মোটা অঙ্কের টাকার। কিন্ত এবার কৃষকের সেই আশা ভঙ্গ হতে চলেছে। নিম্নবিত্তরা অর্থকষ্টে ভুগছে, চাকুরীজীবিরা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের বাড়িতে আসতে পারছে না। ফলে ক্রেতা সঙ্কট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
জেলার প্রসিদ্ধ আমবাড়ী, ফাসিলাডাঙা, বটেরহাট, রেলবাজারসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে গরু ও ক্রেতা আগের মত নেই। তারপরেও গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কম তা ক্রেতাদের মুখে শোনা গেছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে কোরবানির জন্য দুই লাখের বেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে। বিপরীতে চাহিদা এক লাখ ৩০ হাজার। এদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাণী সম্পদ বিভাগে বিভিন্ন হাটে তদারকি করছে। আর দাম বাড়ার আশা নিয়ে কৃষক ও খামারিরা অপেক্ষা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশীয়-গরু

৩০ জুলাই, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ