Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাম বেশি ক্রেতা কম

পশুর হাটে নানান নামের বড় গরু স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত সর্বত্রই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

জমে উঠেছে রাজধানীর ১৮টি কোরবানির পশুর হাট। ছোট মাঝারি থেকে শুরু করে বিশালাকৃতির গরু উঠেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে উট, দুম্বা, ছাগল। কোনো কোনো হাটে বৃহৎ আকৃতির গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ থেকে ৪৯ লাখ টাকা। সবগুলো হাটে প্রচুর গরু। বিক্রেতারা দাম বেশি চাওয়ায় বিক্রি কম। গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কিছু হাটে ক্রেতার সমাগম এখনো জমে উঠেনি। যারা এসেছেন, তারাও দামদর বেশি শুনেই ফিরতি পথ ধরেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিক্রির পরিমাণ ছিল সামান্যই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারীরা বলছেন, ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি আছে। এখনো যদি ক্রেতাদের মধ্যে কোরবানির পশু কেনার প্রবণতা না থাকে, তাহলে হয়তো কাক্সিক্ষত পরিমাণ গরু বিক্রি করতে পারবেন না তারা। তবে গতকাল হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসেছে। পশুর হাটে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঈদের এখনো কয়েকদিন বাকি আছে। তাই একটু সময় নিয়ে দেখেশুনে কোরবানির পশু কিনতে চান। আপাতত তাই দাম যাচাই করছেন তারা। ব্যাপারীরা দাম ছাড়তে চাচ্ছে না। তাছাড়া হাটে এখনো পর্যাপ্ত গরু না আসায় একেবারেই পছন্দ না হলে আরও দুয়েকদিন পরেই কিনতে চান বলে জানান তারা।

গাবতলির হাটে বড় গরুর সংখ্যা বেশি। হাটটিতে উট, দুম্বা তোলা হয়েছে বিক্রির জন্য। দুবাই থেকে আনা দুম্বাগুলোর দাম চাওয়া হচ্ছে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ পর্যন্ত। তবে একজন বিক্রেতা জানালেন, ৭০ হাজার টাকায় একটি দুম্বা বিক্রি হয়েছে। বড় বড় গরু দেখতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ভিড় করছে। শাহজাহানপুর হাটে দেখা গেল সাদা একটি গরুর পাশে ভিড়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ঝিনাইদহ থেকে নিয়ে আসা গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘সাদা পাহাড়’। ব্যাপারী মো. আজিজ মিয়া জানালেন, তিনি দাম হাঁকাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। গরুটি কিনলে ক্রেতা পাবেন অন্য একটি ছোট গরু ফ্রি। আজিজের দাবি ‘সাদা পাহাড়’ এর দাম উঠেছে ৬ লাখ টাকা।
গতকাল শনিরআখড়ায় দেখা গেছে প্রচুর গরু। কিন্তু ক্রেতা কম। বৃষ্টির পানিতে হাটের মাখামাখি অবস্থা। মহানগরীর হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকায় বসা অস্থায়ী হাটে, গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটে সরেজমিনে ঘুরে বোঝা যায় এখনো বিক্রি জমে উঠেনি।

হাজারীবাগ হাটে ট্যানারী মোড়ের বাসিন্দা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, গরুর দাম বেশি চাচ্ছে। তাই আরও দুয়েকদিন দেখব। এখনো তো সময় আছে। অযাচিত দাম চাইলে কিনবো কেমন করে? দাম নিয়ে ক্রেতাদের এমন ‘আপত্তি’র সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে আসা ব্যাপারী জহির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি ১২টা গরু আনছি। এখনো একটাও বিক্রি হয়নি। দু’য়েকজন দাম জিজ্ঞাসা করছে। কাস্টমার তেমন নেই। সামান্য লাভ পেলেই বিক্রি করে দিব। কারণ এবার গরুর দাম অনেক কম। লাখ টাকার গরু দাম দিতে চায় ৬০ হাজার। শনিরআখড়ার হাটে একই কথা বলেছেন কিশোরগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারী আবদুস সহিদ। তিনি বলেন, পরশু দিন ৫ গরু নিয়ে হাটে এসেছি। কিন্তু এখনও বিক্রি করতে পারিনি একটাও। কাস্টমাররা আসছে। দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছে। এভাবেই চলছে। কাস্টমাররা মনে করছে দাম বেশি। কিন্তু আমরা তো খামারে লালন-পালনের খরচসহ যাবতীয় খরচ হিসেব করেই সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করছি। তবুও কাস্টমারের দেখা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশুর হাট

৮ জুলাই, ২০২২
২০ জুলাই, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ