বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাবি রিপোর্টার : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইনমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও জঙ্গিবাদকে উস্কে দেয়ার মতো স্ট্যাটাস পোস্ট করায় আইন মন্ত্রণালয়ের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক মো. শিবলী ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, ফেসবুকের নিজস্ব পাতায় ইংরেজিতে লেখা ওই স্ট্যাটাসে আইন বিভাগের প্রভাষক শিবলী ইসলাম উল্লেখ করেছিলেন, ‘কিভাবে আইনমন্ত্রী জামিন না মঞ্জুর করার জন্য আদেশ করতে পারেন? এটা কি চূড়ান্ত পর্যায়ের মূর্খতা! আমি আগে ভেবেছিলাম, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একজন নির্বোধ আছেন, কিন্তু এটা পরিতাপের বিষয় যে, তিনি একজন খ্যাতিমান আইনজীবী হয়েও আনিসুল হক নিজেকে একই পর্যায়ে নিয়ে গেলেন।’
এই ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমদকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ফয়জার রহমান ও সিন্ডিকেট সদস্য ইব্রাহীম হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত শিবলী ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন।
এ বিষয়ে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘এই চিঠির পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মো. শিবলী ইসলাম বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি বা কোন মানহানিকর কোনো মন্তব্য ফেসবুকে শেয়ার করিনি।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রভাষক মো. শিবলী ইসলাম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করে আইন বিভাগের শিক্ষক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো। বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সময় ওই শিক্ষকের মাস্টার্স (এলএলএম ডিগ্রী) পরীক্ষা শেষ হয়নি। এমনকি তার অনার্সে প্রথম শ্রেণিও ছিল না। তাই তিনি ওই নিয়োগে শিক্ষক হওয়ার যোগ্য ছিলেন না। কিন্তু আইন বিভাগের তৎকালীন দায়িত্বে থাকা জামায়াতপন্থি শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ওই শিক্ষকের মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে মর্মে একটি প্রশংসা পত্র দিয়েছিলেন। ওই সময়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এম আনিসুর রহমান বিশেষ কাজে বাহিরে ছিলেন।
শিক্ষককে অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই
ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইলসহ ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মন্ডলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ভুক্তভোগী গোলাম ফারুক সরকার নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।