গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। করোনার নেগেটিভ সনদ না থাকায় প্রতিদিনই যাত্রীদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে বাইরে থেকে সনদ নিলেও তা গ্রহণ করছে না ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার নির্ধারিত সেন্টারের বাইরে থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নেয়া ৩৪ জন যাত্রীকে ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি।
গত রোববার সকালে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেও সার্ভারে তা পজিটিভ থাকায় তাকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচিত হলেও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেল্পডেস্কের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানযোগে যেকোনো গন্তব্যে যেতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদই কেবল এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেগুলো থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েই যাত্রীরা যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। হার্ডকপি এবং সফটকপি পরীক্ষা করে তবেই একজন যাত্রীকে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত শুক্রবার কাতার ও টার্কিশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটের ৩৪ জন যাত্রীকে যেতে দেয়া হয়নি। তাদের করোনা নেগেটিভ সনদ ছিল কিন্তু সেগুলো নির্ধারিত সেন্টারের ছিল না।
করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করার সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিদেশগামীরা। তবে বর্তমান টিকিটেই তারা যাতে পুনরায় যাত্রা করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিদেশ যেতে করোনা টেস্ট করাতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিদেশগামীরা। অনেকেই সময়মতো টেস্টের ফলাফল হাতে পাচ্ছেন না। এ কারণে ফ্লাইট মিস করছেন। গতকাল সোমবার সময়মতো করোনা নেগেটিভ সনদ না পাওয়ায় নির্ধারিত ফ্লাইট মিস করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত অভিমুখী চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধশত প্রবাসী। ওই দিন সকালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে এসব যাত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, গতকাল ফ্লাইট মিস করা যাত্রীদের কভিড-১৯ সার্টিফিকেট প্রদানের সময় নির্ধারিত ছিল রোববার বেলা তিনটা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তবে তারা কভিড-১৯ সনদ পান সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে। ততক্ষণে ফ্লাইটগুলো চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।
করোনা পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক গন্তব্যে প্রথম ফ্লাইট ছিল গতরাতে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে ছিল কড়াকড়ি। বিদেশযাত্রায় সরকার নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো থেকে করোনা পরীক্ষার সনদ নেওয়ার বাধ্যবাধকতার প্রথমদিন গত ২৩ জুলাই থেকে সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।