Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আড়াই দশকে বিভিন্ন যুদ্ধে বিশ্বে ১ কোটি ২৫ লাখ মুসলিম নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৪ পিএম

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন তো বন্ধ হচ্ছেই না বরণ ষড়যন্ত করে নিজের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়াসহ বিশ্বের নানা দেশে মুসলিমদের মোকাবিলা হচ্ছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। প্রতিদিন কোথাও না কোথায় মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। আর এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

শুধুমাত্র গত আড়াই দশকে বিভিন্ন যুদ্ধে অন্তত ১ কোটি ২৫ লক্ষ মুসলিম নিহত হয়েছেন। তবে এই পরিসংখ্যানে শুধুমাত্র যুদ্ধের হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। দেশে দেশের নির্যাতিত বা নিহত মুমলিমদের সংখ্যা আনা হয়নি। এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন তুরস্কের বিশিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞ ড. রফিক তুরান। সম্প্রতি ইস্তান্বুলে আন্তর্জাতিক ইতিহাস বিষয়ক এক কনফারেন্সে তিনি বলেন,শেষ ২৫ বছরের খতিয়ানে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে কমপক্ষে ১.২৫ কোটি মুসলিম নিহত হয়েছেন। বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ সাধারণত যুযুধান দুটো দেশের মধ্যেই হয়। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে ক্ষমতা দখলের লড়াই তীব্র হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। যকে গৃহযুদ্ধ বলা হয়।

এ ধরনের অভ্যন্তরীন যুদ্ধ সহজে থামার লক্ষণ দেখা যায় না। এই ক্ষমতার লড়াইয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের অগণিত সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। তারপরেও ক্ষমতালোভী বিবদমান গোষ্ঠীগুলো রণেভঙ্গ দেয় না। তাদের লক্ষ্য কেবল মসনদ দখল করা। সাধারণ মানুষের অকাতরে প্রাণহানি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তার কথায়, বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধ মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে, বিশ্বযুদ্ধের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সিরিয়া ইস্যুতে তিনি বলেন, কেউই চায় না সিরিয়ায় শান্তি ফিরুক। সিরিয়ার দীর্ঘকাল ধরে চলমান যুদ্ধ, প্রাণহানি, ধ্বংসযজ্ঞ এবং অপরিমেয় ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমেরিকা এবং রাশিয়াকেই মূলত দায়ী করেন। পাশাপাশি ইরানের দিকেও আঙুল তোলেন ড. রফিক তুরান।

তার মতে, এই তিন দেশের জন্য সিরিয়ার আজ এই দুর্দশা। সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন– মানবিজে তুর্কিবাহিনী যে দু'দফা অভিযান চালিয়েছিল, সেটা ছিল মূলত সন্তাস দমনে অভিযান। তবে ওই দুই সামরিক অভিযানে হতাহতের সংখ্যা খুব কম ছিলো। কিন্তু শসস্ত্র কুর্দি সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

অন্যদিকে সিরিয়াকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার দায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ওপরেও চাপিয়েছেন ড. তুরান। বলেন– অসাদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অদম্য বাসনা থেকেই গোটা দেশটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এত প্রাণহানি সত্ত্বেও কোনওমতেই ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি নন প্রেসিডেন্ট আসাদ। ৯ বছরেরও বেশি হয়ে গেল দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ও বহুমুখি যুদ্ধ চলছে, তবুও আসাদ অনড়। রাশিয়া এবং ইরানের সমর্থনের কারণেই আসাদের শক্তি ও জিদ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন ড. তুরান। গত সপ্তাহে আবার নির্বাচনে বিপুলভাবে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন আসাদ। এই প্রেক্ষিতে সিরিয়া যুদ্ধ থামার কোনও সম্ভবনা নেই বলেই মনে করছেন ড. তুরান। পু্বের কলম



 

Show all comments
  • jack ali ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৫ পিএম says : 0
    Since 9/11 kafir with the help of Muslim countries Murtard/Taghut/Zalem/Munafiq government killed nearly 30 millions muslim around the world, not only that millions become disable and also their dwelling place have been completely destroyed as a result near 10's of millions muslim become Homeless.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ