পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারিগরি জনবল সংকটে আগস্ট থেকে ভোগান্তিতে পড়তে যাচ্ছেন রাজধানীর অন্তত ১০ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি: (ডেসকো)র কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সিন্ডিকেটবাজির কারণে আটকে আছে জনবল নিয়োগ। ফলে অনেকটাই অবিসম্ভাবী হয়ে উঠেছে এই ভোগান্তি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আউট সোর্সিংয়ের জনবল দিয়ে ডেসকো তাদের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, কমার্শিয়াল সাপোর্ট সার্ভিস এবং বাণিজ্যিক পরিচালন কার্যক্রম চালাচ্ছে। টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত ‘সবনিম্ন দরদাতা’ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারি ১৯টি ঠিকাদারকে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়। এ হিসেবে চলতিবছর ১ ফেব্রæয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়। চুক্তি বাড়াতে হলে সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ৩ মাসে রজন্য চুক্তি বাড়ানো হয়।
কিন্তু ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা ছাড়াই এক তরফাভাবে চুক্তির মেয়াদ দুই ধাপে ৬ মাস বাড়িয়ে নেন। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই শেষ হচ্ছে চুক্তির বর্ধিত মেয়াদও। অথচ জনবল সরবরাহকারী ঠিকাদারদের সঙ্গে বর্ধিত মেয়াদের বেতন-ভাতা, বোনাস, গাড়ি, মোটর সাইকেল, পিক-আপ, ভ্যানসহ লজিস্টিক সাপোর্টের বিষয়ে কোনো ফায়সালা করেনি ডেসকো।
এরই মধ্যে একটি ঈদ অতিবাহিত হয়েছে। আরেকটি সমাগত। করোনা এবং দ্রবমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বিধি অনুসারে ৩৫ শতাংশ বর্ধিত অর্থ দাবি করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অর্থ পরিশোধ না করলে তাদের পক্ষে গ্রাহক সেবা অব্যাহত রাখা অসম্ভব বলে জানিয়েছে তারা।
সূত্রমতে, কমার্শিয়াল অপারেশন সাপোর্ট সার্ভিসের জন্য চলতিবছর ৩০ জানুয়ারি নতুন দরপত্র আহ্বান করে ডেসকো। এতে ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। উন্মুক্ত পদ্ধতির এ দরপত্রে কারিগরি মূল্যায়নে ২৬টি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রদানের জন্য নির্বাচিত হয়। তাদের আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা হয়। আর্থিক মূল্যায়নে ১৯টি প্রতিষ্ঠান উত্তীর্ণ হয়। ন্যূনতম বেতন শর্ত পূরণ করতে না পারায় ৭টি প্রতিষ্ঠান ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হয়। বাদপড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ,মুন্সি ইঞ্জিনিয়ার্স, এমআরএ কনসোর্টিয়াম, এএ ট্রেডিং, এমআই অ্যাসোসিয়েটস, এম. ইন্টারন্যাশনাল, স্টার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সুমি ট্রেডার্স।
অভিযোগ রয়েছে, বাদ পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক একই ব্যক্তি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেনেরই বেনামী প্রতিষ্ঠান। আত্মীয়-স্বজনের নামে লাইসেন্স নিয়ে তিনি নানা কৌশলে ডেসকোর ৩০ ভাগ জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ বাগিয়ে নেন। ডেসকোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি জনবল সরবরাহ করছেন।
কিন্তু এবারের দরপত্রের তার মালিকানাধীন ৭ প্রতিষ্ঠান অযোগ্য বিবেচিত হয়। আর এতে স্বার্থহানি ঘটে ডেসকোর দুর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি সিন্ডিকেটের। ফলে নতুন দরপত্রে যোগ্য বিবেচিত ১৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ আটকে রাখে ডেসকো বোর্ড। ফলে সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হুমকির মুখে পড়েছেন সেবা গ্রহিতা ডেসকোর প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক।
ডেসকোর প্রধান প্রকৌশলী এবং দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির প্রধান মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমার জানা মতে বর্ধিত অর্থ দাবির কোনো আবেদন জমা পড়েনি। পছন্দসই ৭ প্রতিষ্ঠানকে জনবল সবরাহের কার্যাদেশ প্রদানের জন্য সিন্ডিকেট হওয়ার অভিযোগ যথার্থ নয়। নতুন টেন্ডারে যোগ্য বিবেচিতদের কার্যাদেশ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ডেসকোর বোর্ড। এখনও বোর্ড মিটিংয়ের তারিখ পড়েনি। কবে মিটিং হবে বলতে পারছি না।
সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (পিআইঅ্যান্ড) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান টেলিফোনে ইনকিলাবকে বলেন, জনবল সরবরাহকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একটি আবেদন দিয়েছে। কিন্তু তারা আগস্টের পর থেকে কাজ করবেন না মর্মে কোনো আল্টিমেটাম দেননি। একটি আবেদন দিয়েছেন। আমরা সেটি পেয়েছি। আমরা আশা করছি তারাই কাজ করবেন। সুতরাং গ্রাহকরা কোনো ভোগান্তিতে পড়বেন বলে আমরা মনে করছি না। এর বেশি কিছু জানতে চাইলে অফিসে আসুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।