মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিতর্কিত এলাকা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় নেপালের এক সীমান্তরক্ষী আহত হয়েছেন। নেপালে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে সীমান্ত চৌকিতে বাধা দেয়ার কারণে তারা সীমান্তরক্ষীদের উপরে এই হামলা চালান। শুক্রবার নেপালের রাউতাহাতে পারোহা পৌরসভা-৮ এর নরকাটিয়া গ্রামের কাছে দাশগজা অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। জায়গাটি ভারতের বিহার সীমান্তবর্তী। এদিকে, একই দিনে বিতর্কিত এলাকা নিয়ে উত্তরাখন্ড সীমান্তেও ভারত-নেপালের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ করতে বন্ধ সীমান্ত পার হয়ে দুই ভারতীয় মহিলা ঘাস সংগ্রহ করতে নেপালে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের বাড়ি বিহারের খারসালওয়া এলাকায়। নেপালি নিরাপত্তা কর্মীরা তাদেরকে সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে, ওই মহিলাদের পক্ষে তাদের গ্রামের লোকেরা সীমান্তের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তাদের সাথে নেপালের সীমান্তরক্ষীদের তুমুল গন্ডগোল হয়। এর মধ্যেই এক ভারতীয় মহিলা নেপালের সীমান্ত রক্ষী এপিএফের এক সদস্যকে ঘাস কাটার জন্য ব্যবহৃত একটি কাস্তে দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ওই রক্ষী গুরুতর আহত হয়। এর পরে উত্তেজনা থামাতে সীমান্ত রক্ষীরা ফাঁকা গুলি চালাতে বাধ্য হয়ে বলে নেপাল পুলিশ জানিয়েছে।
নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) রবিনরাজ করনজিৎ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮৫ জন নিরাপত্তা কর্মীকে ব্যাকআপের জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। এই বিরোধে জড়িত একজনকে নেপালের সুরক্ষা বাহিনী গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে এই শর্তে তাকে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে ভারতের পূর্ব চম্পারণের পুলিশসুপার নবীনচন্দ্র ঝা জানান, ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় এখনও প্রচন্ড উত্তেজনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কেন ওই মহিলাকে নেপাল পুলিশ আটক করেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের দখলকৃত তিনটি অঞ্চল নেপাল তাদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই দু-দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। শুক্রবারের এই সংঘর্ষের ঘটনায় প্রমাণিত হলো, নেপালীরা এখন আর ভারতের দাদাগিরি মানতে রাজি নয়। দিন কয়েক আগেও বিহার লাগোয়া সীমান্তে ভারতীয়দের নেপালের সীমান্তরক্ষীদের সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, উত্তরাখন্ডের কাছে ভারতের দখলকৃত এলাকা উদ্ধারে শুক্রবার চেষ্টা চালান নেপালের স্থানীয় বাসিন্দারা। ১০০-১৫০ মিটারের ওই এলাকাটি নিজেদের দাবি করে সেখানে তারা কয়েকটি কাঠামো পুঁতে দেন ও ভারত-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। সে সময় ভারতের পক্ষ থেকে তাদেরকে বাঁধা দেয়া হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হলে দুই পক্ষই সেখান থেকে সরে আসে। এ বিষয়ে তনকপুরের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ওই বিতর্কিত জায়গাটি কার এবং সীমান্ত নির্ধারণের জন্য ভারত ও নেপালের যৌথ দল গঠন করা হয়েছিল। এলাকায় জরিপ পরিচালনার কথা ছিল সেই দলের। তবে করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপে সেই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়। সূত্র : দ্য হিমালয়ান টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।