প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি শুধু নামে আছে, সাধারণ সদস্যদের কল্যাণে তেমন কোনো কাজে নেই। এ নিয়ে সাধারণ সদস্যদের নানা অভিযোগ করতে দেখা যায়। সম্প্রতি সমিতির সদস্য ফি বাড়ানো, সাধারণ সদস্যদের সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে না জানানো, দুস্থ শিল্পীদের সহায়তা না করা ইত্যাদি অভিযোগ করতে দেখা গেছে সমিতির অনেক সদস্যকে। এসব অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান। চাঁদা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ফরম কিনতে আগেও পাঁচ হাজার টাকা লাগত, এখনো তা-ই আছে। যেটা বাড়ানো হয়েছে, তা হচ্ছে ভোটার হতে হলে ২০ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, একজন নায়করাজ রাজ্জাককে আজকের অবস্থানে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। একজন নতুন শিল্পীকে মাত্র ৫ হাজার টাকায় সমিতির সদস্যের সাথে সাথে ভোটার বানিয়ে তার সমান করা এক ধরনের অন্যায়ের শামিল। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া সমিতির নিজস্ব কোনো আয় নেই। সদস্যদের চাঁদায় সমিতি চলে। অমিত অভিযোগ করে বলেন, আগের কমিটি (শাকিব-মিশা) নানা বিল বকেয়া রেখে গেছে। সেগুলো পরিশোধ করতে হয়েছে। আগে এফডিসি ইলেকট্রিসিটি বিল নিত না। এখন তারা পানির বিলও নেয়। প্রতিমাসে ৫-৭ হাজার টাকা বিল আসে। আগের কমিটি সাড়ে ৩ লাখ টাকা ইলেকট্রিসিটি বিল বাকি রেখে গেছে। আগের সাধারণ সম্পাদক অডিট কমিটির বিল দেয়নি। গত নির্বাচনের খরচ বাবদ দেড় লাখ টাকা বাকি ছিল। এর সবই পরিশোধ করতে হয়েছে। কমিটির ফান্ড একেবারে শূন্য। স্টাফদের বেতন বাড়াতে হয়েছে। দুস্থ শিল্পীদের সহায়তার ব্যাপারে অমিত বলেন, ফান্ডে টাকা নেই। টাকা না থাকলে কীভাবে দেব। এরপরও এফডিসির একটি ফান্ড আছে। একজন পরিচালক তার ছবির আয় থেকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখে গেছিলেন। ওইখান থেকে ঝর্ণা নামের একজন শিল্পীকে ক্যান্সারের জন্য সহায়তা করা হয়েছে। ফাইটার নুরুল ইসলাম ভাইকে সাহায়তা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চাঁদা যা নেওয়া হচ্ছে সবই সাধারণ সদস্যদের উন্নয়নের স্বার্থে। কার্য নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তেই সবকিছু নির্ধারিত হয়। কারো একক সিদ্ধান্তে নয়। উল্লেখ্য, বর্তমান সভাপতি শাকিব খান নির্বাচনের আগে ৫০ লাখ টাকার ফান্ড গঠনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। তার এই প্রতিশ্রæতি সোনার হরিণই হয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারিতে। শাকিব সম্প্রতি জানিয়েছেন, সভাপতি পদে এবার তিনি নির্বাচন করবেন না। তার বদলে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন ওমর সানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।