পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দূরবস্থা জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই নয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয়, প্রতিটি সংস্থা, সবখানেই দুর্নীতি অনাচার অনিয়ম। এ অবস্থায় দু’একজনকে গ্রেফতার, বদলি কিংবা পদত্যাগ করিয়ে পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। এমনকি দুই একটা মন্ত্রণালয়ে রদবদল করেও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। বাস্তবতা হলো, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে চাইলে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় গোটা সরকারেরই খোলনলচে পাল্টাতে হবে। প্রধামন্ত্রীসহ এ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট, এই সরকারের উদ্দেশ্য জনস্বার্থ নয়, জনগণের অর্থ সম্পদ লুটপাট ও টাকা পাচার। দেশের ব্যাংকগুলো প্রায় দেউলিয়া অথচ বিদেশের ব্যাংকে জমছে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা। ২০১৯ সালে শুধুমাত্র সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। কারা এসব টাকার মালিক? এতো টাকা কেমন করে সেখানে পাচার হলো? কীভাবে হলো? গত একদশকে দেশ থেকে নয় লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। রাষ্ট্রের আনুক‚লেই এই অর্থ লোপাট ও পাচারের কাজগুলো হয়েছে। এসব টাকা থাকলে সরকারকে এখন দেশের রিজার্ভের টাকার দিকে নজর দিতে হতো না। কেবল পাচার-ই নয়, বিশ্বের দেশে দেশে সরকারের পৃষ্টপোষকতায় লুটেরারা গড়ে তুলেছে সেকেন্ড হোম। বেড়েই চলছে কানাডার বেগম পাড়ার পরিধি।
দেশ কে চালাচ্ছে প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মনিটর করছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন, তদারকি করছেন’। জনগণ জানতে চায়, প্রধানমন্ত্রী যদি করোনা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করেন তাহলে ভুয়া প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার এবং রিজেন্ট হসপিটাল করোনা টেস্ট ও ট্রিটমেন্টে'র অনুমতি পেল কেমন করে? এটা নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরেই নতুন নাটক জন্ম দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে ‘জেকেজি এবং রিজেন্ট; কাজ পেয়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা কিছুই জানে না। মারণঘাতী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন সারাবিশ্বে এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করছে, তখন এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে নেয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জানেন না, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না তাহলে জানবেটা কে? কার জানা উচিত? জনগণের প্রশ্ন, দেশটা আসলে চালায় কে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।