Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেয়ারবাজারে ফিরল ২০০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

দীর্ঘদিন পর শেয়ারবাজারের প্রতি কিছুটা হলেও আস্থা ফিরছে গ্রাহকদের। আর তাই গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের বেশি। এতে শেয়ারবাজারে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে ফিরে এসেছে। বড় অংকের অর্থ ফেরার সপ্তাহে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২টির। আর ১৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৫১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের পরিমাণ সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ সপ্তাহ সূচকটি বাড়ল। আগের চার সপ্তাহে ৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট, ৭৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট, ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট এবং ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বাড়ে।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক। শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে দশমিক ৬১ পয়েন্ট। এ সূচকটিও টানা পাঁচ সপ্তাহ বাড়ল। আগের চার সপ্তাহে এ সূচকটি ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, ১৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, ২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট এবং দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বাড়ে।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই’র আরেকটি সূচক ডিএসই-৩০। এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে। অবশ্য তার আগের তিন সপ্তাহ সূচকটি টানা বেড়েছিল।
এদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩০১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় এক হাজার ৫০৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন কমেছে ২৭০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসই’র মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৮৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১ দশমিক শ‚ন্য ৪ শতাংশ অবদান ছিল।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, বেকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ফাইন ফুডস এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ