পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত। রপ্তানিসহ নানা খাতে তীব্র প্রভাব পড়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন চলতি বছরের মধ্যেই করোনা সংকটের অবসান হবে এবং আগামী বছরের শুরুতেই দেশের অর্থনীতি ভালভাবে ঘুরে দাঁড়াবে।
গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘কোভিড-১৯ অ্যান্ড বাংলাদেশ ইকোনমি’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিসার্স এন্ড পলিসি ইনটিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইআরএফ কর্মশালার আয়োজন করে। ইআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের গেষ্ট অফ অনার বিল্ড-এর চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি সামস মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবু ইউসুফ বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় যেমন সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তেমনই অনেক সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। অনেক দেশ এখন পণ্য আমদানিতে চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে। অনেক দেশ চীন থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে অন্য দেশে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে। এছাড়া চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধের কারণেও চীনকে আর এতটা নির্ভযোগ্য মনে করছে না বিভিন্ন দেশ। যা আমাদের জন্য বেশ সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দ্রুত নানা উদ্যোগ নিতে হবে। ঢিলেঢালাভাবে চললে এসব সম্ভাবনা মিস হয়ে যেতে পারে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে সে অনুসারে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানান।
টিপু মুনশি বলেন, আগামী দিনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ১২টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এর মধ্যে ভুটানের সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা অনেক এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরে ৪৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আমরা আশা করি অবশ্যই সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। রপ্তানির প্রধান পণ্য পোশাক খাতের পাশাপাশি চামড়া, চামডজাত পণ্য, পাট, হালকা প্রকৌশল এবং আইটি খাতে নতুন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এই বছরের শেষের দিকে আমরা এই মহামারী থেকে মুক্তি পাবো এবং সাথে সাথেই সকলের সামষ্টিক প্রচেস্টার মাধ্যমে আবারও অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে পারব।
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, করোনার কারণে বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। পণ্য আমদানিতে অনেক দেশ রক্ষণশীল অবস্থান নিতে পারে। এছাড়া করোনা পরবর্তীকালে অনেকদিন পর্যন্ত পর্যটন বা মানুষের চলাচল সীমিত থাকতে পারে। তাতে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্যসহ অনেক পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে। এমন অবস্থায় রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।