Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনা মশিয়ালী হত্যাকান্ড এখনও উদ্ধার হয়নি অস্ত্র

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টন বাহিনীর গুলিতে গ্রামের নিরীহ ৩ জন নিহত, ৮ জন গুলিবিদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হামলাকারীদের একজন নিহতের ঘটনায় গঠিত অনুসন্ধানী তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। চার সদস্যের তদন্ত কমিটি মশিয়ালীর ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে।

এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও হামলায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি জাকারিয়া জাকার ও তার ভাই মিল্টনসহ এজাহারভুক্ত ১৮ আসামি। অপরদিকে ট্রিপল হত্যা মালায় গ্রেফতারকৃত মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসান, জাহাঙ্গীর, আরমান ও রহিম রিমান্ডে পুলিশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।

মশিয়ালীর হত্যাকান্ডের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশিনার (অপরাধ) এস এম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটির অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শিপ্রা রাণী দাস গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনায় আহত কয়েকজন ১৬ জুলাইয়ের মর্মান্তিক হত্যাকাÐসহ ঘটনার বর্ণনা দেন। তদন্ত কমিটির অপর সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. আনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার বলেন, অনুসন্ধানে তাদের রুটিন কাজ চলছে, আমরা গ্রামবাসীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছি। এ বিষয়ে এখন কোন মন্তব্য করার কিছু নাই।

অনুসন্ধানী তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার প্রদানকারী হামলার শিকার গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের পুত্র মো. আজাদ শেখ (৪০) এবং প্রত্যক্ষদর্শী কুদ্দুস শেখের ছেলে রফিক শেখ বলেন, গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন বাহিনীর কাছে জিম্মি থেকে বহু নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলা সহ্য করে বসবাস করে আসছিল। তাদের নির্যাতনের শিকার গ্রামের সাধারণ মানুষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কারও সহযোগিতা পায়নি। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ বা কথা বললে বা তাদের বাহিনীর কোন সদস্যের অপরাধের বিষয় কাউকে কিছু বললে মুহূর্তের মধ্যে তার বিরুদ্ধে সকল ধরনের ব্যবস্থা নিতো জাকারিয়া গং।

এদিকে ট্রিপল হত্যাকাÐ এবং নির্বিচারে গুলিতে হতাহতের ঘটনার নায়ক জাকারিয়া, জাফরিন, মিল্টনসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল বিকেলে গ্রামবাসী মিছিল বের করে। মিছিলটি খুলনা যশোর মহাসড়ক হয়ে ইস্টার্নগেটে এসে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তী পথসভায় সাবেক মেম্বর ও আ.লীগ নেতা আ. হামিদ সরদার, রেজওয়ান রাজাসহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তৃতা করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ত্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ