গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার প্রভাবে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের মাঝে মারাত্মকভাবে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই এর সবেচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব আসে বেসরকারি খাতে। ফলে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় আস্থা সূচক মাইনাস ১৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট এ নেমে আসে। অথচ ২০১৮ সালে একই সময়ে বেসরকারি খাতে এই সূচক ছিল প্লাস ৪৩ পয়েন্ট। বিশেষতঃ এই সময়ে চীন থেকে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানীমূখী বিভিন্নখাতের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামাল সরবরাহ কমে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের মাঝে এই আস্তাহীনতা সৃষ্টি হয়।
দেশের বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের (এলসিপি) এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ‘বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স-২০১৯-২০’ (বিসিআই)- শিরোনামে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। গত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৫৯ টি খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে এই মানদন্ড তৈরি করা হয়।
এলসিপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রেজা, মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এমএসসিআই)-এর সভাপতি নিহাদ কবির, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এলসিপি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন ইসলাম।
মূল প্রবন্ধে লাইট ক্যাসল পার্টনার্স’র পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চলমান অর্থনৈতিক ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের এখন অর্থনীতির নির্দিষ্ট খাতের পরিবর্তে প্রতিটি খাতকে গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করার সময় এসেছে। তখনই আমরা পদ্ধতিগতভাবে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে যেতে পারব।
সমীক্ষায় সাক্ষাত প্রদানকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই মনে করেন, করোনার প্রভাবে গত ছয় মাসে দেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ধস নামে। ৪০ শতাংশ ধারণা করছেন, এর প্রভাবে পোশাক, টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পে সবচেয়ে বেশি হারে শ্রমিক ছাঁটাই এর সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোচনায় এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়। এগুলো হচ্ছে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, বেসরকারি খাতে নি¤œতর ঋণপ্রবাহ, সরকারি সঞ্চয় স্কীমে সুদের হার কমে যাওয়া ইত্যাদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।