বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের আলোচিত দাপুটে প্রতারক সাহেদের সঙ্গ পরশে সুনামগঞ্জ ছাতকে এক রিকশা ওয়ালা এখলাস এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এ নিয়ে শিল্প নগরী ছাতকে শুরু হয়েছে তোলপাড়। বৌলাগ্রামের রিক্সা মালিক কবির মিয়ার গ্যারেজে রিক্সা চালিয়েছেন ওই নব্য কোটিপতি। মুক্তিরগাও’র ফখর উদ্দিনের গ্যারেজের রিক্সাও চালিয়েছে সে। সুনামগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও আশুলিয়ায় রয়েছে অঢেল জমি (!) ছাতক শহরের মন্ডলীভোগ এলাকায় আলিশান বহুতল ভবন তার।
দামী গাড়ী হাকিয়ে করেন চলাফেরা। এমনকি দুরপথ বিশেষ করে ঢাকা-চিটাগাং যাতায়াত চলে হাওয়াই গাড়িতে। ছাতকে লক্ষ লক্ষ ঘন ফুট বালু পাথর ইয়ার্ডে ষ্টক তার।এছাড়া
হাজার মেট্রিক টন চুনা পাথর আমদানী সহ ভূমি ব্যবসার একটি ভূমিখেকো সিন্ডিকেট চক্র রয়েছে তার (! )। চাঁদপুরে রমজান আলীর পূত্র এখলাস খান। খান পদবীতে সম্ভোধন না করলে মনে ক্ষোভ জন্মে তার। তাই সর্তকতার সাথে সেই পদবীতে ‘খান সাব’ বলে ডাকেন তাকে সকলে।
২০০৩ সালের আগে ছাতকে রিক্সা চালিয়েছেন কথিত কোটিপতি খান সাব। হঠাৎ রিক্সা ছেড়ে বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা লগ্নি করতে থাকেন দেদারচ্ছে। এই এখলাস খানের অশুভ বিনিয়োগে মূলধারার অনেক ব্যবসায়ী গুটিয়ে গেছেন। লোক দেখানো বেশ কিছু ব্যবসা শুরু করে এসময় শহরে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মুনাফা হচ্ছে বলে গল্পগুজব শুনাতেন তিনি। ছাতকের মূলধারার অনেক অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীগণ তার উত্থান ও টাকায় মেদ জমার রহস্য অস্থির। বর্তমানে করোনা টেষ্ট কেলেংকারীর হোতা সাহেদের কাছে এই এখলাস খান দু’কোটি টাকা পান। তা নিয়ে ছাতক থানায় মামলাও হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সেকারনে সাহেদ সাথে এখলাস কানেকশন নিয়ে পড়েছে হইচই।
এব্যাপারে ছাতকের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, একজন রিকশাচালক আঙুলফুলে রাতারাতি কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তদন্ত হলেই নজরে আসবে প্রশাসনের। ব্যবসায়ীরা আরো জানান ছাতকে ও এখলাছ খানের শশুর বাড়ীতে প্রচুর জায়গা জমি এবং ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে, গর্ব করে নিজেই বলতেন এখলাস। প্রতারক সাহেদ ওরফে শাহেদ করিম ও তাঁর সঙ্গী মাসুদ পারভেজ ছাতকের আলোচিত এ বালু-পাথর ব্যবাসায়ী এখলাছ খানের কাছ থেকে প্রতারণা করে দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাওনা টাকা চাইতে ঢাকায় গেলে ওই ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাহেদ করিম ভয় দেখান, এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়। গত রবিবার এ ব্যাপারে মামলা উদ্দেশ্যে ছাতক থানায় যোগাযোগ করেছেন এখলাছ। স্থানীয় থানা পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগে ভুল থাকায় সংশোধন করে আনার জন্য বলা হয়েছে ব্যবসায়ী এখলাস খানকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।