মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কামার গুলের বাড়ি মধ্য আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের এক গ্রামে। সেখানে আরও অনেক ঘর পড়শি রয়েছে। কিন্তু, কামারের বাবা যেহেতু আফগান সরকারের সমর্থক, তাই তালেবানদের রোষে পড়ে পরিবারটি। গত সপ্তাহে দল বেঁধে সে বাড়িতে হানা দিয়েছিল তালেবানরা। কামারের বাবাকে খতম করাই উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু, বাধা দিতে গিয়ে মা’ও মরে ওই জঙ্গিদের হাতে।
তালেবানেরা তাদের কপাল লিখন পড়তে পারেনি। কী অপেক্ষা করে আছে, তা তারা জানত না। মাত্র কয়েক'টা সেকেন্ড। গুলির জবাব গুলিতে দিয়ে, দুইয়ের বদলা দুই করে চরম প্রতিশোধ নেয় গুল। বাকিদেরও সে মারত পারত। কিন্তু, মারেনি। যে দুই জঙ্গি মা-বাবাকে নির্মম ভাবে খুন করেছে, তাদের মেরেই প্রতিশোধ নিয়েছে কামার।
ঘোরের ওই গ্রামের প্রধান, স্থানীয় পুলিশের মাথায় বসে থাকা হাবিবুর রহমান মালেকজাদা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, তালেবানরা কামার গুলের বাবাকে খুঁজতে বাড়ি গিয়েছিল। তিনিই জানান, ওই কিশোরীর বাবা সরকারের সমর্থক হওয়ার কারণেই তালেবানরা খেপেছিল। ঘটনার দিন ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে। সেসময় বাধা দিতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী। তাকে দয়া দেখায়নি তালেবানরা। বাড়ির বাইরে ওই দম্পতিকে একই সঙ্গে তারা হত্যা করে।
কামার গুল তখন ঘরের ভিতরেই ছিল। পরিবারের নিরাপত্তায় বাড়িতে রাখা একে-৪৭ এক ঝটকায় হাতে তুলে নেয়। যে দুই তালেবান তার মা-বাবাকে মেরেছে, আগে তাদের খতম করে সে। তার পর ঘায়েল করে তাদের সঙ্গী বাকি জঙ্গিদের। বলছিলেন মালেকজাদা। যে কামার গুলের এত সাহস, তার বয়স ১৪ থেকে ১৬-র মধ্যে হবে। এক এক সূত্রে, এক এক রকম বয়স জানা গিয়েছে। তবে, ১৬-র বেশি নয়। আফগানদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা তাদের আসল বয়স জানেন না।
এমন একটা ঘটনার পর তালেবানরা ছেড়ে দেবে, এটা ভাবাই ভুল। ঘটনার পরপরই তারা এসেছিল শোধ নিতে। কিন্তু, সরকারপন্থী জঙ্গি ও কয়েক জন গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে। আবারও যে আসবে না, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তাই কামার গুল ও তার ছোট ভাইকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। এমনটাই জানালেন প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মহম্মদ আরেফ আবের।
আফগান কন্যার এই বীরত্বের খবর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে চাপা থাকেনি। নেটিজেনরা ভরিয়ে দিয়েছেন প্রশংসায়। মাথায় ফেট্টি বাঁধা। মেশিনগান হাতে কামার গুলের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তালেবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে জঙ্গিদের এমন অত্যাচার নতুন নয়। যখন যাকে সরকারের চর হিসেবে সন্দেহ হয়, তাকেই তুলে নিয়ে গিয়ে তালেবানরা প্রাণে মেরে ফেলে। আফগানিস্তানে শান্তিচুক্তির পরেও অস্ত্র ত্যাগ করেনি আফগান জঙ্গিরা। সম্প্রতি একাধিক হামলায় বহু আফগান নিরাপত্তারক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।