পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, রফতানি বহুমূখীকরণে পণ্যের সংখ্যা বাড়লেও পরিমাণ খুব একটা বাড়েনি। তাই পোশাক ছাড়া অন্যান্য পণ্য রফতানির পরিমাণ বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, টেকনোলজি সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা হলো। এখানে অনেক দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা সম্ভব হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রফতানি পণ্য বহুমূখীকরণে এ সেক্টর বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে এবং রফতানি বাড়বে। চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়েও বাংলাদেশ থেমে নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সালমান এফ রহমান বলেন, দক্ষতা বাড়াতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস ইসিফোরজে প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের মিরেরসরাই ইকোনমিক জোনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে বেজার ১০ একর জমির উপর এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ৪ একর জমির উপর দু’টি টেকনোলজি সেন্টার গড়ে তোলার জন্য জমি লিজ দেয়ার ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, টেকনোলজি সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এখানে ম্যান্যুফ্যকচারিং খাতের আধুনিকায়ন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ, ডিজাইন তৈরি ও উদ্ভাবনে সহায়তা, উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ কর্মী তৈরি করা সম্ভব হবে। দেশের ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং ভিশন ২০৪১ এর আলোকে রফতানি নীতিতে পণ্য বহুমূখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দক্ষ কর্মী তৈরি এবং রফতানি বহুমূখীকরণে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং রফতানি পণ্যের বহুমূখীকরণে এ টেকনোলজি সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চামড়া আমাদের একটি বড় সম্ভাবনাময় রফতানি খাত। এ খাতের পণ্য বিশ^বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। এখানে প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জন করে দেশের চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে দক্ষতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ^ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতার চাহিদা নতুন নতুন পণ্যের দিকে, দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজার দখল করতে অল্প সময়ের মধ্যে মান সম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বিশে^ অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ অর্থনীতি সচল রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হাইটেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসেছেন। তথ্য প্রযুক্তি খাত দেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়।
ভার্চুয়াল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. সফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে চুক্তি দু’টিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পেটেটিভনেস ফর জবস ইসিফোরজের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পেটেটিভনেস ফর জবস ইসিফোরজের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম এবং বিশ^ব্যাংক গ্রুপের প্রতিনিধি হোসনে আরা ফেরদৌস সুমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।