পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সন্তান ও ছাত্রদের প্রতি পিতামাতা-শিক্ষকদের যত্মশীল হতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া মাদরাসা এবং শাহজাহানপুরস্থ রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার উদ্যোগে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, প্রকৃত ইসলামকে দূরে রেখে যারা ইসলামের নামে ভ্রান্ত ব্যক্তিমতবাদের পুজারি তারাই এদেশে জঙ্গিবাদের ধারক। এরাই যুব সমাজকে জঙ্গিবাদে প্রবেশ করাতে মগজ ধোলাই করে জান্নাতের জজবা পয়দা করে তাদের বিভ্রান্ত করে। এসব ভ্রান্ত-মতবাদীরাই জঙ্গিবাদের অর্থায়ন করে। জঙ্গি দমনে এদেরকে আগে প্রতিহত করতে হবে।
“রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসা” আয়োজিত “জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী এক মানববন্ধন” মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ আল্লামা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শাহজাহানপুরস্থ মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর গাছতলা দরবার শরিফের পীর আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার আরবী প্রভাষক আল্লামা মেসবাহ উদ্দিন আশরাফীসহ আল্লামা সিরাজুল ইসলাম কাদেরী, আল্লামা তোফায়েল আলম, বাংলা প্রভাষক মো. মতিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী তার বক্তব্যে বলেন, ইসলাম নামের অর্থই হচ্ছে শান্তি কিন্তু ইসলামকে আজ কলুষিত করা হচ্ছে জঙ্গিবাদের নামে! এরা নতুনভাবে সবাইকে ইসলাম শিখাতে চায়, সহি বুখারী, সহি মুসলিমের অজুহাত দিয়ে সবার মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চায়! এরা নিজেদের আহলে হাদীস, লা-মাযহাবী, সালাফী হিসেবে দাবি করে। এক সময় বলা হতো মাদরাসা থেকেই জঙ্গি বের হয় কিন্তু গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের পরিচয় দেখা যায়, এরা সকলেই উচ্চবিত্ত শিক্ষিত ছেলে, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদের মতো মেধাবী তরুণরা আজ জঙ্গিবাদে পা দিচ্ছে তার একমাত্র কারণ বাংলাদেশে আহলে হাদীসদের প্রচার প্রসার বেড়ে যাওয়া। তাই জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে মওদুদীবাদী এই আহলে হাদীস, সালাফীদের বিরুদ্ধে এখনি পদক্ষেপ নেয়া সরকারের গুরু দায়িত্ব।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ রফিকুল ইসলাম বলেন, পীর-আউলিয়ার বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত করার এখনি সময়। ইসলামের সাথে জঙ্গিবাদের দূরতম সম্পর্ক নেই।
কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া মাদরাসা
কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসার উদ্যোগে গণসচেতনতামূলক এক মানববন্ধন ও র্যালি মোহাম্মদপুর কলেজ গেইট এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, চলমান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ইসলাম সমর্থিত নয়। যারা ইসলামের নামে এসব অপকর্ম করছে তারা শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম ইসলামকে বিশে^র দরবারে কলঙ্কিত করছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহাবস্থান ইসলাম স্বীকৃত। পর ধর্মের প্রতি ইসলামে সর্বোচ্চ মানবতা প্রদর্শনের আদেশ রয়েছে। সুতরাং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বিশে^র নানা প্রান্তে ধর্মের নামে যেভাবে সাধারণ নিরীহ মানুষ হত্যা চলছে, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ, অভিভাবক ম-লি ও ছাত্রছাত্রী সকলেই এর তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা বলেন, আমাদের দেশসহ বিশে^র শান্তিপ্রিয় মানুষকে ‘ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে-এর প্রতিরোধে, আপন অবস্থান হতে এর গতি রোধে এবং সন্তান-সন্ততিদের প্রতি মা-বাবার আরো যতœশীল ও সচেতন হয়ে দায়িত্ব পালন করে সত্যিকারের ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এই মানববন্ধন হতে এতে বক্তব্য রাখেন- মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী আব্দুল আলীম রিজভী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা জসিম উদ্দীন আল-আযহারী ও ফক্বীহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।