Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাবণ সম্পর্কে তথ্য চেয়ে শ্রীলঙ্কার বিজ্ঞাপন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ৪:১৮ পিএম

ভারতে যখন অযোধ্যা এবং রামমন্দির নিয়ে মাতামাতি চলছে, তখন শ্রীলঙ্কা মেতেছে রাবণকে নিয়ে। এই রাবণই রামপত্নীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে রামায়ণে বর্ণিত হয়েছে। তবে, শ্রীলঙ্কাবাসীদের বিশ্বাস, রাবণ এক দয়ালু, পণ্ডিত রাজা, যিনি সেই পাঁচ হাজার বছর আগে আকাশযান চালিয়ে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ঘুরে বেড়াতেন! আর সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই রাবণ সম্পর্কে তথ্য-নথি সংগ্রহ করতে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়েছে শ্রীলঙ্কার পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়। উদ্দেশ্য- পুরাণে কথিত এই রাজার ব্যাপারে বিস্তারিত গবেষণা এবং শ্রীলঙ্কার হারিয়ে যাওয়া বিমান সফরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা।

গত বছর শ্রীলঙ্কার কাতুনায়াকে অসামরিক বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞ, ঐতিহাসিক, পুরাতত্ত্ববিদ, বিজ্ঞানী এবং ভূতত্ত্ববিদদের একটি সম্মেলন হয়েছিল। আর সেই সম্মেলন থেকে উপসংহার মেলে, হাজার পাঁচেক বছর আগে রাবণই প্রথম ভারতবর্ষে গিয়ে আবার ফিরে এসেছিলেন। এ প্রসঙ্গে সীতা অপহরণের কথা উঠলেও শ্রীলঙ্কাবাসীর বিশ্বাস, রাবণ মোটেই তেমন কিছু করেননি। তিনি একজন সৎ ও পবিত্র রাজা ছিলেন।

ওই সম্মেলন ঘিরেই শ্রীলঙ্কায় রাবণ নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়। সম্প্রতি ‘রাবণ’ নামে একটি উপগ্রহও মহাকাশে পাঠিয়েছে দেশটি। সেখানের মানুষের বদ্ধমূল বিশ্বাস রাবণের মতো সৎ এবং বিদ্বান রাজা খুব কম ছিলেন। আর তাই ‘মহাব্রাহ্মণ’ রাবণের ইতিহাস খুঁজছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। শ্রীলঙ্কার পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, যে কেউ রাবণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা বই সরকারের কাছে জমা করতে পারেন।

শ্রীলঙ্কা প্রশাসনের বিশ্বাস, রাবণই ছিলেন বিশ্বের প্রথম বিমানচালক। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে নিজের আকাশযান চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। কিন্তু কী পদ্ধতিতে এই আকাশ-সফর, তা জানতে উদ্যোগ নিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়। সেখানের ‘সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি’র সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান শশী দানাতুঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রাবণ অসাধারণ বুদ্ধিমান রাজা ছিলেন। উনিই প্রথম আকাশপথে ওড়ার কৌশল আবিষ্কার করেন। এটা পুরাণকথা নয়, বাস্তব! এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা এটা প্রমাণ করে ফেলতে পারব।’ সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ