পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনার প্রাদুর্ভাব সবার মাঝে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। ভাইরাসটির প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে। এ পরিস্থিতিতে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ যেনো নির্দ্বিধায় তাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ‘বার্জার এক্সপার্ট স্যানিটাইজেশন সার্ভিস’ নামের নতুন জীবাণুমুক্তকরণ সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন এ সেবাটি সহজে ও কার্যকরভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িকে জীবাণুমুক্ত করবে। ফলে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতা সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেবা দিতে পারবে। একই সঙ্গে বাসাতে অবস্থান করা মানুষও নির্বিঘেœ তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) বৈশ্বিক মানদন্ড অনুসরণ করে জীবাণুমুক্তকরণ এ সেবাটি প্রদান করবে বার্জারের প্রশিক্ষিত ও পেশাদার সদস্যরা।
রোববার (১৯ জুলাই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী, বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক একেএম সাদেক নাওয়াজ, প্রজেক্ট, প্রোলিংকস ও এক্সপেরিয়েন্স জোনের প্রধান সাব্বির আহমেদ, ডেকোরেটিভ ব্র্যান্ডের প্রধান নোমান আশরাফী রহমান, চ্যানেল এনগেজমেন্ট বিভাগের প্রধান এএমএম ফজলুর রশিদ এবং গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল আশরাফসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এ নিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক একেএম সাদেক নাওয়াজ বলেন, ‘কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছুদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। বর্তমানে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। এ পরিস্থিতিতে, কর্মী ও ক্রেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আত্মবিশ্বাসী হওয়া প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, নতুন এ সেবা উন্মোচনের মাধ্যমে আমাদের পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্যরা জীবাণুমুক্তকরণ সেবাদান করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা দূর করে তাদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে।
সেবা প্রদানের আগে সেবাদাতা দলের সদস্যরা প্রথমে জীবাণুমুক্ত হয়ে পিপিই, মাস্ক, গ্লাভ ও গগলের মতো প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার করবে। যে জায়গা জীবাণুমুক্ত করতে হবে সেখানে থাকা মানুষকে আগে থেকেই সরিয়ে নিতে হবে এবং জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহারের ৩০ মিনিট পর্যন্ত জায়গাটি খালি রাখতে হবে। এছাড়াও, জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া চলাকালে বৈদ্যুতিক গোলযোগ এড়াতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা গ্রহণ করবেন সেবাদাতা দলের সদস্যরা।
জীবাণুমুক্ত করার জন্য বার্জার এক্সপার্ট স্যানিটাইজেশন সমাধানটি পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) এবং ইএন ১৪৪৭৬ স্বীকৃত। এ সমাধানটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। এ জীবাণুমুক্তকরণ সেবাটি পরিবেশবান্ধব, এতে কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নেই বলে খাবারকেও সুরক্ষিত রাখবে এবং এটি চোখ ও চামড়ারও ক্ষতি করবে না। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ জীবাণুমুক্তকরণ সমাধানটি মানুষ ও প্রাণির জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়াও, এ জীবাণুমুক্তকরণ স্প্রেটি সকল পৃষ্ঠতল এবং পদার্থ বা বস্তুর ওপর ব্যবহার করা যাবে। এমনকি কাপড়েও এটি স্প্রে করা যাবে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। কারণ, ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পৃষ্ঠতলে ২ ঘণ্টা থেকে নয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এ সমাধানটি ৯৯.৯৯ শতাংশ ভাইরাস ও জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে।
জীবাণুমুক্তকরণ এ সেবাদানে বিশ্বের স্বনামধন্য প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ ও রাসায়নিক দ্রব্য সংগ্রহ করেছে বার্জার পেইন্টস। কোভিড-১৯ জীবাণুমুক্তকরণে এ সমাধানটি বেশ কার্যকর বলে সুপারিশ করেছে সিডিসি, ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। জীবাণুমুক্তকরণে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রেকো আল্ট্রা, গ্রেকো জিএক্স ২১ ও ইউএলভি ফগার- এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করবে।
বার্জার এক্সপার্ট স্যানিটাইজেশন সেবাটি পেতে আগ্রহীদের বার্জার পেইন্টসের সেবা কেন্দ্রগুলোতে (বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোনের আউটলেট, ২৪/৭ কল সেন্টারের নম্বর, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ) যোগাযোগ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।