মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা সংকটের মাঝেই তড়িঘড়ি করে অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাইছে ভারতের মোদি সরকার। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজ শুরু হতে চলেছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
করোনা মোকাবেলা ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক মন্দা, চীনের সাথে সংঘাত, নেপালের কাছে কূটনৈতিক পরাজয়, ইরানের প্রত্যাখান, সব মিলিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে চরম সামলোচনার মুখে পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নিজের ‘৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি’ ভাবমূর্তি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য। এ অবস্থায় জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে আবারও নিজেদের মূল অস্ত্র ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ প্রয়োগ করতে চলেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। সে লক্ষ্যে আগামী ৩ অথবা, ৫ আগস্ট শুভ দিন হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যে কোনও এক দিন রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্ট।
অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় সুপ্রিম কোর্ট মন্দির নির্মাণে অনুমতি দেয়ার পর চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্ট গঠন করে কেন্দ্র। তাদের তত্ত্বাবধানেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়। তার কিছু দিনের মধ্যেই নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, করোনা সঙ্কটে সেই কাজ থমকে যায়। সম্প্রতি দেশ জুড়ে আনলক পর্ব শুরু হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শনিবার জরুরি বৈঠক করে ওই সংগঠন। সেখানেই ৩ অথবা ৫ আগস্ট মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নৃত্যগোপাল দাসের মুখপাত্র মহন্ত কমলনয়ন দাস বলেন, ‘গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান দেখে ৩ এবং ৫ অগাস্টকে শুভ দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি আমরা। তার মধ্যে যে কোনও এক দিন আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’ শনিবারের ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অবনীশ অবস্থিও। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানান, মন্দির নির্মাণের জন্য দেশের ১০ কোটি মানুষের থেকে চাঁদা তোলা হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
মন্দির নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান চম্পত রাই। তিনি বলেন, ‘লারসেন অ্যান্ড টারবো সংস্থা মাটি পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করছে। ভূগর্ভের ৬০ মিটার নীচে মাটির ক্ষমতা কেমন, তা যাচাই করেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের চূড়ান্ত নকশা তৈরি করা হবে। কাজ শুরু হবে তার পর।’ ট্রাস্টের সদস্য কমলেশ্বর চৌপাল জানান, মন্দিরের উচ্চতা হবে ১৬১ ফুট। মোট পাঁচটি গম্বুজ থাকবে। তবে মন্দিরের নকশা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে টানাপড়েনের পর গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে, মুসলমানদের বেশিরভাগ সংগঠনই এই রায় প্রত্যাখান করেছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।