পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে কোরবানীর পশুর হাট নিয়ে বেকায়দায় সিলেটে সিটি কর্পোরেশন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা বিবেচনায় রেখে এবার সিলেট নগরীতে কোরবানীর পশুর হাটের জন্য তিনটি উন্মুক্ত স্থান ইজারা দেয়ার উদ্যোগ নেয় সিটি কর্পোরেশন। এই তিনটি স্থানের মধ্যে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ। খেলার মাঠে পশুর হাট বসানো নিয়ে শিক্ষার্থী, সচেতনমহল ও ক্রীড়া সংগঠকদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে আন্দোলন। আন্দোলনের মুখে প্রথম স্থানটি থেকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠ ইজারা দেয়া থেকে সরে আসে সিটি কর্পোরেশন। এর পর দ্বিতীয় স্থান সিলেট এমসি কলেজ মাঠ। কোরবানীর দ্বিতীয় স্থানের মাঠের ইজারা বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছেন এম সি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবার জেলা প্রশাসনের অনুমতি সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠ, এমসি কলেজ মাঠ ও দক্ষিণ সুরমাস্থ ট্রাক টার্মিনালের পাশের মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। হাট ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্রও আহ্বান করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে পশুর হাট বসানোর দরপত্র আহ্বানের পর থেকে আন্দোলনে নামেন সরকারি আলিয়া মাদরাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ওই মাঠে পশুর হাট বসানো থেকে সরে আসে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু এমসি কলেজ মাঠে পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে অনড় থাকে কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে ২০ লাখ টাকায় ইজারাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের মাঠ পশুর হাটের জন্য ইজারা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থী, ক্রীড়া সংগঠক ও সচেতন মহল।
তাদের দাবি প্রতিদিন বিশাল এই মাঠে শত শত শিশু, কিশোর ও যুবক খেলাধুলা করে থাকে। কয়েকটি ক্রীড়া একাডেমি নিয়মিত প্রশিক্ষণও করায়। এখানে পশুর হাট বসলে পরবর্তীতে এই মাঠ খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। খেলার মাঠে পশুর হাট না বসাতে গতকাল শনিবার দুপুরে মানববন্ধন করেছে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। খেলার মাঠে পশুর হাট বসাতে গেলে প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে এমসি কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক সালেহ আহমদ জানান, স্থানীয় সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক খেলার মাঠটি কোরবানীর পশুর হাটের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারি কলেজের মাঠ সরকার বরাদ্দ দিলে কলেজের করার কিছু থাকে না।
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল বলেন, এমসি কলেজের মাঠে প্রতিদিন শত শত খেলোয়াড় এই মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট অনুশীলন করে থাকে। খেলার মাঠে পশুর হাট বসালে ঐতিহ্যবাহী এই মাঠটি পূর্বাবস্থায় নিয়ে আসা কোনভাবেই সম্ভব হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।