বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিবালোকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে যশোর পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এক প্রেস ব্রিফিংএ জানান, চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডটির ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এসপির নির্দেশে জড়িতদের আটক এবং পুরো ঘটনা উদঘাটন করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে যশোরের এসপির বিরাট সাফল্য।
হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ চরমপন্থী আটক, দোনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও তাদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ জুলাই যশোরের মণিরামপুরের মধুপুর গ্রামের আমারত বিশ্বাসের পুত্র রফিকুল ইসলামকে (৫০) কুচলিয়া এলাকায় দুপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, কোতয়ালী থানা, অভয়নগর থানা ও মণিরামপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানের নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন। অভিযানে গত শুক্রবার অভয়নগর ও মণিরামপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হেলাল ভ‚ঁইয়া (২০), মো. সেলিম (২২), হাসান আলী, (৩৫), সমীরণ পাঁড়ে (৫৪) ও তাপস মোড়ল (৩৮) নামে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা নিজেদের চরমপন্থী সংগঠন ‘নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘের দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। নিহত রফিকও একসময় তাদের সদস্য ছিলেন। ঘটনার দিন তাকে টাকা ও মোবাইল ফোন সেট দেয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে সহযোগীরা।
পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম পিপিএম ও ডিবি পুলিশের ইনসপেক্টর মারুফ আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।